কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে টানা ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে বলে জানা গেছে। লাগাতার বৃষ্টিতে কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয় বলে সূত্র জানায়।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বশীল একজন প্রকৌশলী জানান, গত আগস্ট মাসের শুরু থেকে কাপ্তাই ও রাঙ্গামাটি জেলায় লাগাতার ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ১৩ দিন কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলের ১৬টি গেইট খুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি জেনারেটরের সবগুলো চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এতে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হয় বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহ বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই লেকে পানি বেড়ে যায়। কাপ্তাই লেকে পানি বাড়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে মাত্র ১৬ পয়সা। তবে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধির ফলে অনেক ঘরবাড়ি এবং চাষাবাদকৃত জমি পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানান। পাশাপাশি কাপ্তাই লেকের ১০৯ ফুট মিন সি লেভেল এর নিচের জমিতে চাষাবাদ এবং ঘরবাড়ি নির্মাণ না করার জন্য কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত সাবধান করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
লেকে পানি কম থাকলেও ১০৯ ফুট এমএসল এর নিচের জমিতে কেউ যাতে চাষাবাদ না করেন সে জন্য তিনি রাঙ্গামাটি ৭ম পৃষ্ঠার ৭ম কলাম
জেলা প্রশাসনকেও লিখিতভাবে অবহিত করেছেন বলে জানান। তবে সতর্কতাবাণী আমলে না নিয়ে যারা কাপ্তাই লেকের ১০৯ ফুট এমএসএল এর নিচের জমিতে চাষাবাদ এবং ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন তারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলেও প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান।
তিনি আরও বলেন, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে লেভেলে পানি রাখা হতো এখনও ঠিক একই লেভেলে পানি ধারণ করা হচ্ছে। ধারণ ক্ষমতার বাইরে এক বিন্দু পানিও কাপ্তাই লেকে ধরে রাখা সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে সবাইকে সতর্কতা মেনে কাপ্তাই লেকের ১০৯ ফুট মিন সি লেভেল এর নিচে ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং চাষাবাদ না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।