টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতল খুলনা টাইগার্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

এবারের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সকে তেমন শক্তিশালী দল হিসেবে তেমন কেউ হিসেবে না রাখলেও দলটি দারুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। গতকাল বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ২৮ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। খুলনা টানা তৃতীয় জয় তুলে নিলেও রংপুর হেরেছে দ্বিতীয় ম্যাচ। এবারের বিপিএলে টস জয় মানেই ম্যাচ জয় এমনটাই প্রতিষ্ঠিত সত্যে রূপ নিতে যাচ্ছিলো। অন্তত এবারের বিপিএলে ঢাকা পর্বে যতগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, সবগুলোতেই জয় পেয়েছে টস জিতে ফিল্ডিং নেয়া দলগুলো। কিন্তু এই প্রথম বিপিএলে জয় পেয়েছে প্রথমে ব্যাট করা খুলনা টাইগার্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করেছিলো খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১৮.৪ ওভারে অলআউট হয়ে যায় রংপুর ১৩২ রান করে। টানা তিন ম্যাচে জয় পেলো এনামুল হক বিজয়ের দল। তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছে তারা।

টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রংপুর অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক এনামুলকে হারায় খুলনা। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে এভিন লুইস এবং মাহমুদুল হাসান জয় ৩৮ রান যোগ করলেও সেখানে জয়ের অবদান মাত্র ৭। এরপর আফিফ হোসেনও ফিরেন ৪ রান করে। দলকে ৬৪ রানে পৌছে দিয়ে চতুর্থ উইকেট হিসেবে ২৫ বলে ৩৭ রান করে ফিরেন এভিন লুইস। এরপর খুলনাকে টানেন দাশুন সানাকা এবং মোহাম্মদ নওয়াজ। এদুজন ৭৭ রানের জুটি গড়েন। নওয়াজ হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করলেও সানাকা ফিরেছেন ৪০ রান করে। নওয়াজ ৫৫ রান করে ৩৪ বলে। শেষ পর্যন্ত ১৬০ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইগার্স। রংপুর রাইডার্সেল পক্ষে ৩টি উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ধ্বস নামে রংপুরের ইনিংসে। বিশেষ করে দলটির পাওয়ার হাউজ বাবর আজম এবং ব্রেন্ডন কিং দাঁড়াতেই পারেননি। বাবর আউট হন ২ রানে আর ব্রেন্ডন কিং আউট হন ১ রান করে। ১১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর রনি তালুকদার এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারী মিলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন। ১৫ রান করে আউট হন রনি তালুকদার। ২২ বলে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৩০ রানের হালকা ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান। তবে আফগান ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবি একাই খুলনার বোলারদের বিপক্ষে লড়াই করলেন। তিনি ৩০ বলে তিনি খেললেন ৫০ রানের ইনিংস। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। কিন্তু অপর প্রান্তে আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নুরুল হাসান সোহান এবং সাকিব আল হাসান কেউই দাঁড়াতে পারেনি। সাকিব ফিরেছেন ৪ বলে ২ রান করে । শেষ দিকে মেহেদী হাসান ৮ বলে করেন ১২ রান। রিপন মন্ডল ৩ বলে ৮ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে উইকেট দিয়ে আসেন। আর তাতেই ১৩২ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পর বল হাতেও বিধ্বংসী ছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটার দাসুন শানাকা। ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। আর সে সুবাধে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দ্রঘোনায় মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টে সকারু রাইভাল ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
পরবর্তী নিবন্ধচাঁদপুর জেলা দল আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন