বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিনদিনের ছুটিতে পাহাড়ি জেলা রাঙামাটির সব দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। শহরের যান্ত্রিকতার কোলাহল ভুলে প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে হ্রদ পাহাড়ের শহর রাঙামাটিতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। এতে চাঙা হচ্ছে পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। গত দুয়েকদিন ধরে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, ডিসি বাংলো, পলওয়েল পার্ক, রাজবাড়ি, কাপ্তাই লেক, আসামবস্তি– কাপ্তাই সড়কসহ ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা নীলাঞ্জনা রিসোর্ট, রাঙাদ্বীপ, বেরান্ন্য লেক, ইজোর, রান্ন্যেটুগুনসহ দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর জায়গাগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে। পরিবার, প্রিয়জন ও আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা রাঙামাটির দর্শনীয় জায়গায়গুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আবার অনেকে কাপ্তাই লেকে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে ভেসে বেড়াচ্ছেন।
ঝুলন্ত সেতুতে গিয়ে কথা হয় ঢাকা থেকে আসা খায়রুল হাসান জাহিনের সঙ্গে। তিনি জানান, আমরা আটজন বন্ধু মিলে বেড়াতে এসেছি। রাঙামাটি বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘুরেতেছি। এক পাশে পাহাড় আরেক পাশে লেক খুব ভালো লাগছে। পর্যটন নৌ– যান ঘাটের লাইনম্যান মো. ফখরুল ইসলাম জানান, টানা ছুটিতে ভালো পর্যটকের সমাগম ঘটছে। পর্যটকরা বোটে করে কাপ্তাই লেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের দৈনিক ২৫ হতে ৩০ টি মতো বোট ভাড়া হচ্ছে। বোট চালক ও মালিকরা ব্যস্তটার সময় পার করছে।
ঝুলন্ত সেতুর টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বরত কর্মচারী মো. সোহেল জানান, গতকালে প্রায় দেড় হাজার উপরে পর্যটক ঝুলন্ত সেতুতে ভ্রমন করেছে। আজকে ভালো পর্যটক আসতেছে। রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, ভালো পর্যটক আসতেছে। গতকালকে আমাদের হোটেল– মোটেলগুলো ৮০ শতাংশ উপরে বুকটি ছিল। আজকেও ৬০ হতে ৭০ শতাংশ মতো বুকিং রয়েছে।
এদিকে, মেঘের রাজ্য নামে খ্যাত সাজেক ভ্যালিও এখন পর্যটকে মুখরিত। মেঘ পাহাড়ের মিতালি সৌন্দর্য দেখতে সাজেকে ছুটছেন পর্যটকরা। সাজেক কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ বলেন, গতকালকে আমাদের রিসোর্ট কটেজগুলো শতভাগ বুকিং ছিল। আজকে ৫০ শতাংশ বুকিং রয়েছে।