ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এএইচএফ কাপ হকির শিরোপা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। জাকার্তার জেবিকে হকি ফিল্ডে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ফাইনালে টাইব্রেকার শুট আউটে ৫-৩ গোলে জয়লাভ করে বাংলাদেশ। দুই দলের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। শুরুতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে সমতায় ফিরে ওমান। পরের দুই কোয়ার্টারে কেউ গোল না পাওয়ায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় শুট আউটে। সেখানে জিতে টানা চার আসরে শিরোপা মুকুট ধরে রাখে বাংলাদেশ। প্রথম কোয়ার্টারের শেষ দিকে সতীর্থের লম্বা পাস ধরে নিখুঁত ড্র্যাগ ফ্লিকে দলকে এগিয়ে নেন সোহানুর রহমান সবুজ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে আল ফাহাদের ফিল্ড গোলে সমতায় ফিরে ওমান। পরের দুই কোয়ার্টারে ওমানের রক্ষণে কয়েকবার হানা দিয়েও বাংলাদেশ গোল করতে ব্যর্থ হলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। ভাগ্য নির্ধারনী পর্বে বাংলাদেশ ৫টি হিটেই গোল আদায় করে নেয়। প্রথম গোল করেন ফরহাদ আহমেদ সিটুল। দ্বিতীয় গোল সোহানুর রহমান সবুজের, তৃতীয় গোল রোমান সরকারের, চতুর্থ গোল নাইমের এবং জয়সূচক শেষ গোলটি করেন পুস্কর খিসা মিমো। এর আগে বাংলাদেশ গোলরক্ষক বিপ্লব কুজুর ওমানের চতুর্থ হিট বাধা দিতে সমর্থ হন এবং সামাইয়া মাহমুদ বল বাইরে মারেন। এরপরই মিমোর শেষ পেনাল্টি হিট হয়ে উঠে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মিমো দারুণভাবে গোল করলে ওমানকে আর পঞ্চম হিট নিতে হয়নি। বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয় ৫-৩ গোলে। পুস্কর ক্ষীসা মিমো শেষ শটে লক্ষ্যভেদ করলে জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়াকে ৭-২ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরকে ৭-০, ইরানকে ৬-২ এবং সবশেষ ওমানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছিল তারা। আর সেমি-ফাইনালে কাজাখস্তানকে ৮-১ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। আগের তিন শিরোপা জয়ের দুটিতে ফাইনালে ওমানকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। ২০০৮ সালে সিঙ্গাপুরের প্রতিযোগিতায় ৬-১ এবং চার বছর পর থাইল্যান্ডের আসরে ৬-৩ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ হকি দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য এবং বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ।