দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। এর ফলে টানা চতুর্থবারের মত সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন তিনি। গতকাল বুধবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের পর আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। অষ্টমবারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ–৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন। গতকাল সকাল সোয়া ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনাকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথম ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গঠিত হতে যাওয়া সরকারে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথের আগে নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি নিজেই নিজের শপথ নেন। এরপর তিনি অন্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বেলা ১০টার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে শপথ নেন। বেলা ১১টা ১২ মিনিটে জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে শপথগ্রহণ করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। পরে আলাদাভাবে শপথ নেন জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। শপথগ্রহণ শেষে শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংসদ সচিব এ কে এম আবদুস সালাম। শপথ অনুষ্ঠান শেষে সংসদের ভিআইপি ক্যাফেটারিয়ায় নতুন এমপিদের জন্য ছিল চা–চক্রের আয়োজন।
২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। গত দুই মেয়াদে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত ১১ আসনে জয় পেয়েছে। আওয়ামী লীগের পর সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা জয়ী হয়েছেন ৬২ আসনে। এদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ নেতা।
পরে সংসদ ভবনেই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যদের বৈঠক বসে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৈঠকে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন সংসদ নেতা হিসেবে। একাদশ সংসদের চিফ হুইপ নূর–ই– আলম চৌধুরী লিটন তাতে সমর্থন জানান। পরে তা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে সংসদ উপনেতাও নির্বাচন করা হয়। একাদশ সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরীকেই দ্বাদশ সংসদের উপনেতা নির্বাচন করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যরা।