কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় যে ব্যক্তি ফিশ প্লেট খুলছিলেন তিনি ধাওয়া খেয়ে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে গেছেন। তার আইডি কার্ডসহ কাগজপত্র পাওয়া গেছে। তিনি মূলত কিছু টাকার বিনিময়ে এই কাজ করছেন। আগুন সন্ত্রাসী বিএনপি ও তাদের সমর্থনকারী জামায়াত এই কাজগুলো করে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। গত রোববারের ঘটনায় বিএনপির সম্পৃক্ততার বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাসী বিএনপি ও তাদের সমর্থনকারী জামাত এই কাজগুলো করে। এগুলো করে তারা জনসমর্থন পাচ্ছে না। বরং জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। তারা জানে মানুষ তাদের ভোট দেবে না, সে জন্যই এই সব অপকর্ম করছে। রাজনীতি করার প্রথম শর্ত দেশকে ভালোবাসতে হবে। খবর বাংলানিউজের। রেলের ভাড়া বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপাতত ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। এটি গুজব। জনগণ জানেন কারা গুজব সৃষ্টি করে, কারা ট্রেনে আগুন দেয়, রেললাইনকে ধ্বংস করে। বিএনপির কাজই ষড়যন্ত্র করা। কিছুদিন আগে গোপীবাগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল বিএনপি। যেটা পুরো জাতি দেখেছে। যিনি আগুন ধরিয়েছেন তিনি নিজেই সব স্বীকার করেছেন।
ঈদের টিকিট কালোবাজারি রোধ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদে টিকিট কালোবাজারি রোধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানো হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সহজ ডট কমের সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। টিকিট অনলাইনে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায়। আমরা এবার প্রতিটি টিকিটের মোবাইল নাম্বার যাচাই করব। প্রতিদিনের তালিকা অনুযায়ী এনআইডি নাম্বারগুলো যাচাই–বাছাই করা হবে। ট্রেনের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো রকম অনিয়ম ধরা পড়লেই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।