টস হারাকেই দুষলেন মোমিনুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৪ মে, ২০২১ at ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

মুদ্রা নিক্ষেপেই টেস্টের ভাগ্য অর্ধেক নির্ধারণ হয়ে গেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মোমিনুল হক। গতকাল পাল্লেকেলের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ শেষে পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যায় মোমিনুল ফিরে যান প্রথম দিনের সকালে। তিনি বলেন, ‘আমার মতে, এই টেস্ট ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল টস। এটাই আমার মনে হয়। প্রথম দুই দিনে উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না। ম্যাচের প্রায় ৫০ শতাংশই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল টসের সময়।’ এরপর প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যটিংয়ের পরই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ ছিটকে যায় অনেকটা। শেষ ইনিংসে কাজটা ছিল ভীষণ কঠিন, তবু প্রত্যাশিত লড়াইটুকু করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। মোমিনুল অবশ্য সেই দায়টুকুও মেনে নিচ্ছেন। ‘আমরা যদি চার-পাঁচ সেশন ব্যাটিং করতে পারতাম তাহলে ব্যাপারটা অন্যরকম হতে পারত। সেটা করতে পারিনি, দায় অবশ্যই আমাদের নিজেদের।’ আরো বলেন, ‘শুরুতে দেখে উইকেট আগের টেস্টের মতোই লেগেছিল। একজন বাড়তি স্পিনার খেলানোর কথা যদি বলেন, আমরা যদি আগে ব্যাটিং করতাম চিত্রটা ভিন্নরকম হতো। ওরা হয়তো আমাদের জায়গায় থাকতো আজকে। আমরা ওদের জায়গায় থাকতাম।’ ‘এই সব উইকেটে খুব বেশি স্পিনার লাগে না, যেটা আমার কাছে মনে হয়। আমাদের তো দুইজন খুব ভালো মানের স্পিনারই আছে। আরেকটা স্পিনার আসলে লাগতো না। আমার মনে হয়, দুই স্পিনারই যথেষ্ট।’
শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে যাওয়া সিরিজে এরপরও অনেক প্রাপ্তি দেখছেন অধিনায়ক। তার চোখে পড়েছে অনেক ইতিবাচক দিক। ‘অবশ্যই প্রাপ্তির কিছু না কিছু আছে। আমি সিরিজ হেরেছি এর মানে এই না যে, সব কিছু হেরে গিয়েছি। একটু সমালোচনা হবে, অনেকেই অনেক কথা বলবে। এর ভেতরেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে, আমার কাছে মনে হয়।’ ‘প্রথম টেস্টে আমি সবসময় চাচ্ছিলাম যে দলগতভাবে খেলব। যেভাবে আমরা শেষ দুয়েকটা টেস্টে খেলতে পারিনি। আমার মনে হয়, প্রথম টেস্টে আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। আমরা তখনই ভালো খেলি যখন আমরা দলগতভাবে খেলতে পারি। দলের সবাই যখন অবদান রাখে তখন আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পারি।’ তিনটি ফিফটি এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মোমিনুল। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম টেস্টে ফিফটি এসেছে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাট থেকে।
দ্বিতীয় টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। এসব ছাড়িয়ে অধিনায়কের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি তাসকিন আহমেদের বোলিং। ‘আমার কাছে মনে হয় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আপনারাও হয়তো এটা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন, কোনো পেসার কিছু করতে পারছে কিনা।
সেই হিসেবে তাসকিনকে দেখেছেন। আগের চেয়ে অনেক ভালো এখন। অনেক উন্নতি করেছে। আমার মনে হয়, সব মিলিয়ে অনেক ইতিবাচক দিক ছিল এই টেস্ট সিরিজে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইপিএলে করোনার হানায় কেকেআর আরসিবি ম্যাচ স্থগিত
পরবর্তী নিবন্ধনাইজারে সেনা অভিযানে ২৪ সন্ত্রাসী নিহত