লোহাগাড়ার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আদারচর লতিয়ার পাড়ায় টংকাবতী খাল থেকে স্কেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এতে হুমকিতে পড়েছে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি ও পাড়ের বাসিন্দাদের বসতভিটা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় সপ্তাহ খানেক থেকে একটি মহল আদারচর এলাকায় টংকাবতী খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে করে খালের তীরের ফসলি জমি ও খালের পাড় হুমকির মুখে পড়েছে। বালুবাহী ডাম্প ট্রাক চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।
গতকাল সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্পটে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে ডাম্প ট্রাক। বালু ভর্তি করে একটি ট্রাক চলে গেলে আরেকটি এস্কেভেটরের পাশে এসে দাঁড়ায় বালু ভর্তির জন্য। এভাবে ১০-১২টি ডাম্প ট্রাককে বিরতিহীনভাবে বালু পাচার করতে দেখা গেছে।
সামশুল ইসলাম নামে একজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে খালের চর এলাকার মাটি ক্রমাগত ভেঙে পড়ায় কৃষকরা চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে খালের গর্ভে বিলীন হবে কৃষিজমি ও বসতঘর। নিঃস্ব হবে খাল পাড়ের মানুষ। এই বালু উত্তোলনের পেছনে কলাউজানের ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এম. ওয়াহেদ জানান, এলাকার রাস্তার উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু বালু উত্তোলন করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিষেধ করার পর বালু উত্তোলন বন্ধ রেখেছি। এখন কে বা কারা বালু উত্তোলন করছেন তিনি জানেন না। তবে উত্তোলিত বালুগুলো ইটভাটায় যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবীব জিতু জানান, কলাউজানের আদারচর এলাকায় টংকাবতী খাল থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বালু উত্তোলনের জন্য নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও যদি বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।