বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল এলাকার ৬টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় প্রথমে ছয় জেলে নিখোঁজ থাকলেও পরবর্তীতে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চাম্বল বাংলাবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজতুল ইসলাম বলেন, ভোরে বাঁশখালী থেকে ছয়টি ট্রলারে করে ৬০ জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যায়। সকাল ৮টার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারগুলো ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ৫৪ জন নিরাপদে উপকূলে ফিরে এলেও ছয়জন নিখোঁজ থাকে। পরবর্তীতে একজনের খোঁজ মিললেও এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি তাদের উদ্ধারে।
ট্রলার মালিক সমিতি জানায়, মঙ্গলবার ভোরে চাম্বলের বাংলা বাজার ঘাট থেকে হেফাজতুল ইসলামের মালিকানাধীন এফবি মুশফিক, মোহাম্মদ ফারুকের মালিকানাধীন একটি ফিশিং ট্রলার, কেফায়েত উল্লাহর মালিকানাধীন আল্লাহর দান ফিশিং ট্রলার, নন্না মিয়ার মালিকানাধীন আরেকটি ফিশিং ট্রলার, মৌলভী আবুল খায়েরের মালিকাধীন ফিশিং ট্রলার এবং আনিস মাঝির ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। এ সময় হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে মাঝি-মাল্লাদের কয়েকজন পানিতে পড়ে যায়। অন্য ফিশিং ট্রলারের সহযোগিতায় বেশিরভাগ উপকূলে চলে আসতে পারলেও পশ্চিম চাম্বল এলাকার মৃত আহমদ উল্লাহর পুত্র আনিস মাঝি (৪৫), মৃত নুর মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আলী (৩৮), শীলকুপ এলাকার মৃত মফিজের পুত্র মো. মিয়া (৩২), আস্করিয়া পাড়ার আমির হোসেনের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন, কুতুবদিয়া এলাকার ছৈয়দ আলম (৪৫) এবং শীলকুপ এলাকার হোছাইন আহমদের পুত্র আবদুর সবুর নিখোঁজ হয়। তবে নোয়াখালীর হাতিয়া এলাকার সাঈদ মাঝির মালিকাধীন ফিশিং বোট সবুরকে সাগর থেকে উদ্ধার করে। গতকাল রাত ৯টায় সাঈদ মাঝি জানান, বর্তমানে আবদুর সবুর তার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী জানান, বাঁশখালীর ৬টি ফিশিং ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে প্রথমে ছয়জন নিখোঁজ হলেও পরবর্তীতে একজনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।