ঝোড়ো হাওয়ায় উত্তাল সাগর তীরে উঠে গেল ৪ জাহাজ

পতেঙ্গা ও গহিরা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩১ মে, ২০২৫ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারটি জাহাজ নগরীর পতেঙ্গা ও আনোয়ারার গহিরা সাগর তীরে উঠে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর পতেঙ্গায় দুটি লাইটারেজ জাহাজ সমুদ্র সৈকতের তীরে পাথরের ওপর উঠে আটকে যায়। এরপর গতকাল শুক্রবার আনোয়ারা উপজেলা উপকূল গহিরায় বঙ্গোপসাগরের চরে আটকে যায় দুটি জাহাজ।

নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডের বাঁধে আটকে যায় পানামার পতাকাবাহী ট্যাংকার জাহাজ ‘বিএলপিজি সোফিয়া’। তার কাছে বাঁধের কংক্রিট ব্লকে আটকে যায় ‘এমভি আলহেরেম’। এমভি আলহেরেম জাহাজটি পণ্য খালাসের পর সাগরে নোঙ্গর করা অবস্থায় ছিল। এছাড়া এলপিজি সোফিয়া জাহাজটি গত অক্টোবরে এলপিজি গ্যাস স্থানান্তরের সময় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

আনোয়ারা : আমাদের আনোয়ার প্রতিনিধি জানান, আনোয়ারার সমুদ্র তীরে আটকে যাওয়া দুটি হল সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের পতাকাবাহী টাগ ‘নেভিমার৩’ ও সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী বার্জ ‘মারমেইড৩’। জাহাজে দায়িত্বে থাকা ওয়াচম্যান মিসকাতুর রহমান বলেন, আমরা বাঁশখালীর গণ্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা খালাস করে ফিরে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ি। পরে সমুদ্রের জোয়ারের প্রভাবে উপকূলের চরে আটকে পড়ে। জাহাজটি দুটি দুবাই মালিকানাধীন এক কোম্পানির বলে জানান তিনি।

বার আউলিয়া ঘাট নৌপুলিশের ইনচার্জ কায়ছার হামিদ বলেন, খবর পেয়ে নৌপুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। জাহাজের নিরাপত্তার দায়িত্বে বুঝে নিয়ে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, টাগ ‘নেভিমার৩’ এর সহায়তায় ‘মারমেইড৩’ বার্জটি ২০২৩ সালের ৫ মে ভারতের কলকাতা থেকে পাথর নিয়ে আসে। পরে মামলা জটিলতায় আটকে যায়। তখন থেকে টাগ এবং বার্জটি বহির্নোঙরে অবস্থান করছে। একইভাবে এলপিজি সোফিয়া জাহাজটি বাল্ক তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বহন করে। এটি মোংলা এবং চট্টগ্রামের কয়েকটি এলপি গ্যাস বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের এলপিজি নিয়ে আসে। গত বছরের ৪ জুন মোংলা বন্দরে এলপিজি খালাস করে ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এরপর এলপিজি খালাস করে মামলা জটিলতা নিয়ে বহির্নোঙরে অবস্থান করছিল জাহাজটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধসাগরে লবণের ট্রলার ডুবে কুতুবদিয়ার ৪ জন নিখোঁজ