ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস

কাপ্তাই প্রতিনিধি | সোমবার , ১৪ জুন, ২০২১ at ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খাড়া পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ঘর তৈরি করে বসবাস করছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। যে কোন মুহূর্তে পাহাড় ধসে জীবন বিপন্ন হবার আশংকা রয়েছে সবার। এসব ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারীদের পাহাড় থেকে সরে আসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস না করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে মাইকিং করে সবাইকে সাবধান করা হয়েছে। কিন্তু এসব অনুরোধ ও সাবধান বাণীকে আমলেই নিচ্ছেনা পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারিরা। প্রতিনিয়ত মৃত্যু ঝুঁকি মাথায় নিয়েও পাহাড় ছাড়তে রাজি নয় তারা।
ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে আসার বিষয়ে বারবার অনুরোধের বিষয় উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরে আসার জন্য আমরা বারবার অনুরোধ করে আসছি। কিন্তু অনুরোধ ও আহবান কেউ শুনছে না।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে কাপ্তাই নতুন বাজারের ঢাকাইয়া কলোনীতে বিপুল সংখ্যক পরিবার অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। এমন ঝুঁকিতে তারা বসতি গড়েছেন দেখলেই বুক কেঁপে উঠে। ঝড় তুফান ও বৃষ্টিতে যে কোন মুহূর্তে এসব ঘরবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন থেকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বারবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অনুরোধে কাজ না হলে জোর খাটানো হবে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। মানুষের জানমাল রক্ষায় প্রশাসন যে কোন পদক্ষেপ নেবে বলেও সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১২ ও ১৩ জুন ভারি বর্ষণের ফলে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে পাহাড় ধস নামে। ঐ ঘটনায় ১১৮জন মানুষ মাটি চাপা পড়ে মারা যায়। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানা গেছে। এ বছরও জুন মাসের শুরু থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টিতে ব্যাপক হারে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কা থেকেই সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেওয়া হবে আত্মহননের সামিল
পরবর্তী নিবন্ধকরের হাটে মৌসুমি ফল বেচাবিক্রির ধুম