ঝুঁকিতে ১০ বেইলি ব্রিজ

খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | রবিবার , ৩১ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়ি শহরের সাথে উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে প্রায় ১০টি বেইলি ব্রিজ। ব্রিজগুলোতে ৫ টনের অধিক গাড়ির চলাচল করার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না ট্র্রাক চালকরা। ফলে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ট্রাক চলাচল করার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। ভেঙে যায় ব্রিজ। বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে দুই পাড়ের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মাইনী ব্রিজ এলাকায় প্রতিদিন শতাধিক কাঠবাহী ও মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। প্রতিটি ট্রাকের ধারণ ক্ষমতা ২৫ টন। এতে করে প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। অথচ প্রতিটি ব্রিজের সামনে ৫ টনের বেশি মালামাল নিয়ে চলাচল না করার সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। কিন্তু এসবের তোয়াক্কাই করছে না ট্রাক চালকরা।
ট্রাক চালকরা জানান, প্রতিটি গাড়ির ধারণ ক্ষমতা ২৫ টন। ট্রাকগুলো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঠ নিয়ে ঢাকা, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। ধারণ ক্ষমতার কম কাঠ বহন করলে মালিকের পোষাবে না। তাই বেশি বেশি কাঠ বা অন্যান্য মাল বহন করতে হয়। এতে করে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে।
ট্রাক চালক সাদ্দাম হোসেন, বায়েজিদ জানান, ট্‌্রাকগুলো সাধারণত দীঘিনালা, বাঘাইছড়ি, বাবুছড়া, বাঘাইহাট, কবাখালী থেকে কাঠ নিয়ে ঢাকা বা চট্টগ্রামে যায়। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে যেতে হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে মেরুং বাজার এলাকায় অতিরিক্ত কাঠ বোঝায় ট্রাকের কারণে ব্রিজ ধসে যায়। পার্বত্য অঞ্চলের বেশির ভাগ বেইলি ব্রিজ ৯০ দশকে নির্মিত। দীর্ঘদিন ব্রিজগুলোর কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় কোন রকমে তা টিকে আছে। অতিরিক্ত কাঠবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।
খাগড়াছড়ির সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, বেইলি ব্রিজের উপর ৫ টনের অধিক মালামাল বহনে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তা মানছে না ট্রাক। আমাদের দশটি বেইলি সেতু রয়েছে। মূলত অতি লাভের আশায় চালকেরা ধারণ ক্ষমতার বেশি কাঠ বোঝায় করে। ফলে সহসাই ঘটছে দুর্ঘটনা। পাহাড়ি নদী কিংবা ছড়ার উপর বেইলিগুলোর স্থলে স্থায়ী ভিত্তিতে সেতু নির্মাণ করা গেলে ঝুঁকি এড়ানো যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় দেড় কোটি টাকার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২
পরবর্তী নিবন্ধমাছের প্রজেক্টে বিষ