জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু পাকিস্তানের

স্পোর্টস ডেস্ক | রবিবার , ১০ আগস্ট, ২০২৫ at ১২:০৭ অপরাহ্ণ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টিটোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এবার ওয়ানডে সিরিজও শুরু করল জয় দিয়ে। প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে আবহাওয়ার শঙ্কা মাথায় নিয়ে শুরু হয়। সকাল থেকে বৃষ্টি ঝরেছে প্রচুর। টস হেরে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান আফ্রিদি প্রথম ওভারেই । দ্বিতীয় উইকেটে লুইস ও কেসি কার্টি যোগ করেন ৮২ বলে ৭৭ রান। এই দুজনকে ফিরিয়ে মাঝের সময়টায় ক্যারিবিয়ানদের চেপে ধরেন পাকিস্তানি স্পিনাররা। ৩০ রান করা কার্টিকে ফেরান সুফিয়ান মুকিম। ৬২ বলে ৬০ রান করা থামান সাইম আইয়ুব। শেরফেন রাদারফোর্ডকে জ্বলে উঠতে দেননি সালমান আলি আগা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ৪ উইকেটে ১৩৬। সেখান থেকে ৬৪ রানের জুটি গড়েন শেই হোপ ও রোস্টন চেইস। দুজনেই ফিফটির দেখা পান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। আফ্রিদি আক্রমণে ফিরে ৭৭ বলে ৫৫ রান করা হোপকে বিদায় করার পর রোমারিও শেফার্ডকেও () দ্রুত ফিরিয়ে জোড়া ধাক্কা দেন ক্যারিবিয়ানদের। ৫৪ বলে ৫৩ করা চেইসকে ফেরান নাসিম। শেষ দিকে মোটির ১৮ বলে ৩১ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮০ রানে নিয়ে যায়। টানা দুটি ইয়র্কারে মোটি ও জেডিয়াহ ব্লেডসকে বোল্ড করে ইনিংস শেষ করেন নাসিম।

২৮১ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান ওপেনার সাইম আইয়ুবকে হারায় দ্রুত। ৫ রান করেন তিনি । আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শাফিক ২৯ রান করে বিদায় নেন থিতু হওয়া পর। তিনে নেমে বাবর আজম শুরুতে রান সেভাবে বের করতে পারছিলেন না। রিজওয়ানের শুরুটাও ছিল অস্বস্তিময়। জেডেন সিলস ও শামার জোসেফের সামনে ততটা সুবিধা করতে পারছিলেন না তারা। এক পর্যায়ে টানা ১৬ বলে রান নিতে পারেনি এই জুটি। তবে উইকেট ধরে রেখে পরে রানের চাকা সচল করেন দুজনই। জুটিতে আসে ৫৫ রান। বাবর ৪৭ রানে স্টাম্পড হন মোটির বলে। প্রথম বলে জীবন পেয়ে সালমান আলি আগা দলকে একটু এগিয়ে নেন রিজওয়ানের সঙ্গে। তবে এই দুজনও শেষ করতে পারেননি কাজ। ২৩ রানে ফেরেন সালমান। ৬৯ বলে ৫৩ করে রিজওয়ান যখন আউট হন, ১২.৪ ওভারে তখন ১০১ রান লাগে পাকিস্তানের। সম্ভাবনায় বেশ এগিয়ে তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে নাওয়াজ ও তালাত সেই কঠিন পথ পাড়ি দেন দারুণ ব্যাটিংয়ে। শুরুতে অবশ্য ধুঁকছিলেন নাওয়াজ। প্রথম ১৫ বলে তার রান ছিল ৫। পরে চেইসের বলে ছক্কার পর আত্মবিশ্বাস খুঁজে পান। তালাতও দারুণ সঙ্গ দেন তাকে। এই দুজনের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে নিজেদের দায় মিলিয়ে ম্যাচে ফিরতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। শেষ দিকে নাওয়াজ ওই জীবন পাওয়ার পর ৩ ওভারে ২৭ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। জেডিয়ান ব্লেডসকে তখন টানা দুই বলে ছক্কা ও চার মারেন তালাত। পরের ওভারে শামার জোসেফকে ছক্কা ও চারে ম্যাচ শেষ করে দেন নাওয়াজ। ওয়ানডে অভিষেকে ম্যাচসেরা হওয়া পাকিস্তানের একাদশ ক্রিকেটার তিনি। সিরিজের পরের ম্যাচ একই মাঠে রোববার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোয়াবের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে নারীরাও
পরবর্তী নিবন্ধএনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ ফি বাড়ল ক্রিকেটারদের