জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি–টোয়েন্টি ভার্সনটা বেশ ভালই খেলেছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু লিগ পর্বেল সব ম্যাচে জিতে এলিমিনেটর পর্বে গিয়ে হেরে ছিটকে যায় শিরোপা লড়াই থেকে। একইভাবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চারদিনের ম্যাচেও দারুন শুরু করল চট্টগ্রাম। প্রথম রাউন্ডের প্রথম দিনেই রানের পাহাড়ে চড়ে চট্টগ্রাম। মাহমুদুল হাসান জয় এবং ইয়াসির আলি রাব্বির সেঞ্চুরি উপর ভর করে ম্যাচের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম বিভাগ অল আউট হয়েছে ৪০১ রানে। জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে নেই স্বাগতিক রাজশাহী। হাসান মুরাদের বাঁহাতি স্পিনে ৫ ওভারের মধ্যে তারা হারিয়েছে ২ উইকেট। রান তুলতে পেরেছে মাত্র ১। সেই ১ রান করে ফিরেছেন হাবিবুর রহমান সোহান। রানের খাতা খুলতে পারেননি নাইটওয়াচম্যান শফিকুল ইসলাম। দুই জনই মুরাদের বলে হয়েছেন কট বিহাইন্ড। ক্রিজে থাকা অধিনায়ক সাব্বির হোসেন ও রাহিম আহমেদ এখনও রানের দেখা পাননি।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামের উইকেটে বোলারদের জন্য সহায়তা ছিল যথেষ্ট। কিন্তু সেটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলেন না তাইজুল ইসলামরা। সঙ্গে রাজশাহীর ফিল্ডিংও হলো বাজে। হাতছাড়া হলো ক্যাচ ও স্টাম্পিংয়ের সুযোগ। প্রতিপক্ষের এত ব্যর্থতায় এবং মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলি চৌধুরীর সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ গড়ল চট্টগ্রাম। দুটি সেঞ্চুরির পরও অবশ্য জাতীয় ক্রিকেট লিগের নতুন আসরের প্রথম দিনেই গুটিয়ে গেল চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংস। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তারা করতে পারল ৪০১ রান। দলের খাতায় ২৩ রান যোগ হতেই ১০ রান করে ফিরেন সাদিকুর রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে জয়ের সাথে ২৪ রান যোগ করেন মোমিনুল। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার ফিরেছেন ১৩ রান করে। অধিনায়ক শাহাদাত হোসেনও পারেননি দলকে টেনে নিতে। ফিরেছেন ১৭ রান করে। এরপর চাপে পড়া চট্টগ্রামকে পথ দেখান জয় ও রাব্বি। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দুই জনে বাড়ান রান। ৮৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন জয়। আর ১৩৮ বলে তার ব্যাট থেকে আসে আসরের প্রথম সেঞ্চুরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যা তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। অপরদিকে ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে ৬৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর ইয়াসির তিন অঙ্কে যান ১০২ বলে। ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পুরন করেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাদশ সেঞ্চুরি হলো রাব্বির। এই সংস্করণে পাঁচ হাজার রানও পূর্ণ করলেন তিনি। জয় ও ইয়াসিরের জুটি দুইশ ছাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল আরও সামনে। তাইজুলের বলে জয় কট বিহাইন্ড হলে ভাঙে ২২১ রানের জুটি। জাতীয় দলে জায়গা হারানো জয় ১৬৫ বলে দুই ছক্কা ও ১৫টি চারের সাহায্যে করেন ১২৭ রান। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি ইয়াসির আলি রাব্বিও। এসএম মেহরব হাসানের বলে তিনি ধরা পড়েন তাইজুলের হাতে। ১৩৮ বলে ৬টি ছক্কা ও ১০ টি চারের সাহায্যে ১২৯ রান করেন বাংলাদেশের হয়ে ছয়টি টেস্ট খেলা ইয়াসির। এজুটি ভাঙ্গার পর একপ্রান্ত ধরে রেখে লড়ছিলেন ইরফান শুক্কুর। ক্রিজে গিয়েই বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া ইরফান শুক্কুর ৬৩ বলে ১২টি চারের সাহায্যে করেন ৭২ রান। এই কিপার–ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান মেহরব। এরপর বেশিদূর এগোয়নি চট্টগ্রামের ইনিংস। থামে ৪০১ রানে। নাঈম হাসান করেন ১৬ রান। রাজশাহীর পক্ষে সফল বোলার তাইজুল ইসলাম। ৩৪ ওভারে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার ১৫৯ রান খরচায়। সুজন হাওলাদার ও মেহরব নেন দুটি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় এবং নিজের প্রথম ওভারেই সোহানকে ফেরান হাসান মুরাদ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে শফিকুল ইসলামকেও ফেরান মুরাদ। দুই ওভার বল করে কোন রান না দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন হাসান মুরাদ।












