অনেকের মতে এবারের ইংল্যান্ড দলটা গত ৩৬ বছরে সবচাইতে সেরা দল। অবশ্য ইংলিশরা বিশ্বকাপটা শুরু করেছেও সেভাবে। প্রথম ম্যাচে ইরানকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে। ৬-২ গোলের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা ইংল্যান্ড আজ মুখোমুখি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ শুরুটা হয়েছে পয়েণ্ট হারিয়ে। ওয়েলস একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ফলে নক আউট পর্বে যেতে হলে জিততেই হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন ইংল্যান্ড তখন সে নিশ্চয়তা দেওয়াটা বেশ কঠিন। তার উপর দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে ইংলিশরা। আল-বায়াতের আল খোর স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার দিনের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল। আর সে ম্যাচে ইংল্যান্ডের একটাই লক্ষ্য থাকবে প্রথম ম্যাচের দাপুটে মনোভাব ধরে রেখে দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
চার বছর আগে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আত্মবিশ্বাস থেকে ইউরো ২০২০ এর ফাইনাল এসবই ইংল্যান্ডকে কাতারে আসার আগে বাড়তি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। অপেক্ষাকৃত তরুণদের নিয়েও যে বড় আসরে সাফল্য লাভ সম্ভব তা প্রমাণে ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেটকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। যদিও উয়েফা নেশন্স কাপের হতাশাজনক পারফরমেন্সে বিশ্বকাপের ঠিক আগে ইংলিশদের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও চিড় ধরেছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই ইরানকে উড়িয়ে দিয়ে আবারো নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণ দিয়েছে ইংল্যান্ড । বড় কোন আসরে প্রথম ম্যাচে এটাই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়। ১৯৮২, ২০০৬ ও ২০১৮ সালের পর চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে জিতে নক আউট পর্বের পথে এগিয়ে যেতে চায় সাউথগেটের শিষ্যরা। রাশিয়া বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড ৬-১ গোলে পানামাকে বিধ্বস্ত করেছিল। ইংল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র ১১টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ইংলিশদের জয় আটটি। এই ম্যাচগুলোতে তারা সর্বমোট ৩৯ গোল দিয়েছে। আজকের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারলে ইংল্যান্ডের শেষ ১৬ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে।
এদিকে ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলতে না পারা যুক্তরাষ্ট্র ওয়েলসের বিপক্ষে দারুণ খেলেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেটা অব্যাহত রাখতে পারলে ইংল্যান্ডকে বাড়তি সতকর্তা অবলম্বন করতেই হবে। এর আগে নিজেদের দুটি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।