উপন্যাসটার নাম ‘জ্যোৎস্না সংক্রান্তি’। প্রকাশিত হয়েছে একেবারে সম্প্রতি। এই শীতে। সুজন আহসান লিখেছেন উপন্যাসটা। লেখক বয়সে তরুণ, পেশায় শিক্ষক। জ্যোৎস্না সংক্রান্তি প্রথম উপন্যাস তার। প্রথম উপন্যাস সব লেখকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। সুজন আহসান জানালেন, তিনি শুধু লিখে গেছেন সতেরো-আঠারো দিন। তারপর পাবলিকেশন। অটোগ্রাফ দেয়া।
জ্যোৎস্না সংক্রান্তির প্রধান চরিত্র ইরিনা। এটা যেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কোনো চরিত্রের নাম। লেখক অবশ্য তাকে বলছেন ‘প্রত্যয়ীনি’। আছে সংলাপ। অধ্যায়ের পর অধ্যায়। একশো কুড়ি পৃষ্ঠা। আর উপন্যাসের ব্যাক-কাভারে ছোট্ট একটা মেসেজ। মেসেজটা পাঠককে নিয়ে যেতে পারে প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের কাছে।
জ্যোৎস্না সংক্রান্তির আগেও বই লিখেছেন সুজন আহসান। তিনটা বই বেরিয়েছে তার। আত্মহত্যার পাণ্ডুলিপি (২০১৮), নৈঃশব্দ্যের মায়াহরিণ (২০১৯) ও নিমীলিত নিঃশ্বাস (২০২০)। এর মধ্যে প্রথমটা কবিতার বই; পরের দুটো গল্প।
সব যেন ছুটে চলা। তিনি কবিতা ছেড়ে গল্পে এসেছিলেন। এবার যেন গল্পটাও ছাড়লেন। চলে গেলেন উপন্যাসে কিন্তু উপন্যাস কি এসেছে সুজন আহসানের কাছে? উত্তরটা দেবেন পাঠকই।