একটি জাতি গঠনে যেমন মায়ের ভূমিকা অনন্য, ঠিক তেমনি বই ছাড়া সভ্যতার বিকাশ সাধন সম্ভব নয়। আমরা যতো বেশি বই পড়বো ততবেশি আমাদের চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি পাবে আর যতো বেশি চিন্তার ভিতর দিয়ে আমরা চলতে চেষ্টা করবো ঠিক ততবেশি আমরা নিত্য নতুন উদ্ভাবনের জনক হবো। ইতিহাস বলে আপনার জ্ঞানকে বৃদ্ধি করতে চাইলে বই পড়ুন।
বইয়ের বিকল্প কিছু হতে পারে না। বই শুধু আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াবে না সে একজন আপনার ভালো বন্ধুও হবে। আপনার নিত্য চলার পথে ভালো মন্দ পথ দেখিয়ে আপনাকে পরিচালনা করবে। পরবর্তীতে আপনার এই জ্ঞান বৃদ্ধির ফলে আপনি আর ঠকে যাবেন না, যেখানেই আপনি যান না কেন? তাই নিত্য নতুন বই পড়ুন ইতিহাসকে জানুন।
শুধু আপনিই বই পড়ে জ্ঞানী হবেন আর অন্যরা পিছিয়ে পড়ুক এটা ভাবলেও চলবে না। আপনারই গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে অন্যকে জানাতে হবে বই পড়ার মাহাত্ম্য। তাহলেই সফল হবে আপনার পূর্ণ জ্ঞান। তবে এটাও মনে রাখতে হবে একধারার বই কখনো মানুষকে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে পারে না।
অর্থাৎ সব ধরনের বই পড়লেই আপনার বহুমাত্রিক জ্ঞানের ভাণ্ডার আপনি সংরক্ষণ করতে পারবেন। তাই আপনি যখনই বই পড়তে যাবেন তখন নানা রূপের বই পড়বেন। যেমন ধরেন আপনি যদি বিজ্ঞান টাইপের বই পড়েন তাহলে আপনি বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি যদি ইতিহাস নিয়ে পড়েন তবে পৃথিবী সৃষ্টির নানা বিবর্তন থেকে শুরু করে কীভাবে মানব দিনের পর দিন উন্নতি করে আজকের এই মানব সমাজ গঠিত হয়েছে এবং আরও নানা তথ্য জানতে পারবেন। যদি আপনি প্রবন্ধ বিষয়ক বই পড়েন তবে নানা তথ্যসূত্র আপনি পেয়ে যাবেন। এইরকম বইয়ের ও নানা ক্যাটাগরিতে যদি আপনার বিচরণ হয় তবে যোগ্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসাবে আপনি সমাজের নানা জায়গায় সমাদৃত হবেন। শুধু বই পড়ে আপনার বাহ্যিক জ্ঞান হবে না নিজেকে জানার নিজেকে বোঝার ক্ষমতা ও অর্জন করতে পারবেন, যা সচরাচর এই দিকের খবর বেশিরভাগ মানুষ রাখার প্রয়োজন বোধ করে না। প্রকৃতপক্ষে আপনি যদি নিজেকে জানতে না পারেন তবে অন্য কাউকে আপনি শিখাবেন কীভাবে। তাই বেশি বেশি বই পড়ুন, নানা দেশ, সমাজ, আচরণ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে সত্যিকারের মানুষ হোন। আরও একটা কথা না বললেই নয় বই কিন্তু মানুষের মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘটায়। একজন পশু স্বভাবের মানুষকে ও তার মনুষ্যত্ব জাগিয়ে তোলে ভালো মানুষ হওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকে এই বই।
এসবের জন্যও তাই আমাদের বই পড়া বিশেষ প্রয়োজন। আপনার অন্তর চক্ষুকে জাগ্রত করতে চাইলে বই পড়ুন, অন্যকে বই পড়ার উৎসাহ দিন। দেশ ও সমাজের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন। তাই বেশি বেশি বই পড়ুন। জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে চলুন।