গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়ে উপকূলে আঁচড়ে পড়ছে। এতে পারকি সৈকতের ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে সৈকতের বালু চর আর দোকানপাটের ওপর। ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে পড়েছে সৈকতের রক্ষা বাঁধ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সৈকতের ৮টি দোকান। ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে সৈকত এলাকা। সৈকতের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বন বিভাগের নীরবতায় সৈকতের শত শত ঝাঁউগাছ বিলীন হওয়ার অবস্থায় রয়েছে। গত ১ বছরে জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে অনেক গাছ বিলীন হয়ে গেলেও এসব ঝাউগাছ রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এতে পুরো পারকি সৈকত হুমকিতে পড়েছে। তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। আগ্রাসী ঢেউয়ের আঘাতে সরে যাচ্ছে সৈকতের বালি। অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পর্যটন শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। গতকাল সরেজমিনে পারকি সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা যায়, অস্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি কয়েক ফুট বেড়ে সৈকতের বেড়িবাঁধ ও ঝাউ বাগানে বড় বড় ঢেউ আঘাত হানছে। সৈকতের বালু চর ও দোকানপাটের ওপর পড়ে আছে ঝাউগাছগুলো।
সৈকতের ব্যবসায়ীরা জানান, সৈকতের মূল আকর্ষণ ঝাউবাগান। আর এই ঝাউবাগানে বন বিভাগের কোনো ধরনের নজরদারি না থাকায় গত কয়েক বছরে সৈকতের ঝাউগাছগুলো হারিয়ে গেছে। বর্তমানে এক কিলোমিটারের বেশি ঝাউবাগানের পরিধি কমতে কমতে অনেক ছোট হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বর্ণ হক জানান, পারকি সৈকত রক্ষায় জনস্বার্থে পানি উন্নয়বোর্ড একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পারকি সাপমারা খালের মুখ থেকে পারকি সৈকতের বঙ্গোপসাগর অংশে ভাঙন ঠেকাতে একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর বাস্তবায়ন করা গেলে পারকি সৈকত অনেকটা ভাঙন মুক্ত হবে। ইতিমধ্যে পারকি সৈকত এলাকায় বাঁধ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে জিও টিউব ব্যাগ বসানো হবে।