চাঞ্চল্যকর মা-মেয়ে জোড়াখুনের মামলা রেকর্ডের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হওয়া কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার দেশের ৬৫১তম পুলিশি থানা হিসাবে এটির উদ্বোধন হয়। গত মঙ্গলবার রাতে ইসলামাবাদের চরপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলেও গতকাল শুক্রবার ঈদগাও থানায় হত্যা মামলাটি রেকর্ড করা হয়। আর এ মামলা রেকর্ডের মধ্য দিয়েই কার্যত শুরু হয়েছে ঈদগাঁও থানার কার্যক্রম।
কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চরপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে মা রাশেদা বেগম ও মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর কঙবাজার সদর থানার ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে পরদিন সন্ধ্যা ৬ টায় নিহত মা-মেয়ের লাশ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়। একইদিন (২০ জানুয়ারি) বিকালে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের তেতুলতলীস্থ ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ভবনে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ঈদগাঁও থানার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। আর এ নতুন থানার প্রথম মামলা রেকর্ড হয়েছে গতকাল শুক্রবার। মূলত এ জোড়াখুনের মামলা রেকর্ডের মধ্য দিয়েই ঈদগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। ঈদগাঁও থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, শুক্রবার জোড়াখুনের মামলা দিয়েই ঈদগাঁও থানার প্রথম মামলা রেকর্ড হয়েছে। আবুল কালামকে প্রধান আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। তিনি জানান, প্রথম মামলা হিসাবে ঈদগাঁও থানা পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে মামলাটি। হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হওয়ার সময় ঈদগাঁও থানা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না হলেও বিচার প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্যই এ থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
কঙবাজার সদর উপজেলার পাহাড় ও উপকূল বেষ্টিত ৫ ইউনিয়ন; পোকখালী, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও ঈদগাঁও নিয়ে গত বুধবার ঈদগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এ পাঁচ ইউনিয়নে প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে। এটি কঙবাজার জেলার নবম থানা।