মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দোকানে গত সোমবার রাতে তালা দেন বিএনপির কর্মীরা। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে আবার বিএনপির জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ তালা খুলে দেন। এ বিষয়ে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, সোমবার দুপুরে জোরারগঞ্জ বাজারে বিএনপি ও জামায়াতের দুটি পক্ষের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। আমি এলাকায় থাকলে এটি হতে দিতাম না। এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় বিএনপির অতি উৎসাহী কিছু লোক জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের কয়েকটি দোকানে তালা দিয়েছেন। যারাই এ কাজ করেছে, তারা মোটেও ঠিক করেনি। আমি দুপুরে জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বাজারে গিয়ে দোকানগুলোর তালা খুলে দিয়েছি।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী বলেন, সোমবার জোরারগঞ্জ বাজারে ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির কিছু লোকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেই সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় জোরারগঞ্জ বাজারে আমাদের দলীয় কার্যালয় ও জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় বিএনপির লোকজন। এ বিষয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের দলীয় কর্মসূচি থাকায় সারাদিনই চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম। জোরারগঞ্জ বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষের বিষয়ে যতটুকু জেনেছি, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জোরারগঞ্জ বাজারে জামায়াতের নেতা–কর্মীদের দোকানে তালা দেওয়ার বিষয়টিও আমি জানি না। যদি তেমনটি হয়ে থাকে, তবে তা ঠিক হয়নি।