একাধিক দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে– গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত এ বিধান বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার খারিজ করে রায় দিয়েছে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের দ্বৈত বেঞ্চ। খবর বিডিনিউজের।
জোটভুক্ত হলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে– এমন বিধান যুক্ত করে গত ৩ নভেম্বর আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এ অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন গত ৩০ নভেম্বর রিট আবেদনটি করেছিলেন।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী উপস্থিত ছিলেন। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১ ডিসেম্বর হাই কোর্ট রুল দেয়। রুলে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশের ওই বিধানসংবলিত ৯ অনুচ্ছেদ সংবিধানের ২৮, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার রুল খারিজ করে রায় দেয়।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার বলেন, রুল ডিসচার্জ অর্থাৎ রিট খারিজ করে দিয়েছে। এর ফলে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদ বহাল থাকল। ফলে নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে।
আইনজীবী রাশনা ইমাম বলেন, কী কারণে রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করেছে তা বলেনি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে তা জানা যাবে। তখন দেখে আমরা লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি) দায়ের করব।












