নাফনদীতে মাছ ধরা অজুহতে জেলে ছদ্মবেশে মাদক পাচার কালে উখিয়া ব্যাটালিয়ন ৬৪ বিজিবির অভিযানে একজন আটক, এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটক মো. শামসুল আলম টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের মো. ভুলু মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি নাফ নদীতে মাছ ধরার অজুহাতে মাদক পাচারের প্রবণতা বেড়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বিজিবি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তৎপর থেকে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, পালংখালী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মিয়ানমার থেকে কিছু ব্যক্তি মাছ ধরার ছদ্মবেশে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশের জেলের বেশে বিপুল পরিমান মাদক চোরাচালান করবে।
পরিস্থিতির বিবেচনায় ২৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) পালংখালি বিওপি’র টহল দল বিআরএম-১৯ হতে আনুমানিক ১ কিঃ মিঃ পূর্ব দিকে এবং বিওপি হতে আনুমানিক ১.৫ কিঃ মিঃ উত্তর পূর্ব দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে
আঞ্জুমানপাড়া বেড়ীবাধে স্থানে অবস্থান করে।
এ সময় আনুমানিক আড়াই ঘন্টা পরে ২ জন জেলে সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখলে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে এবং জেলের ছদ্মবেশে থাকা মোঃ শামসুল আলমকে আটক করে।
পরবর্তীতে আটক ব্যাক্তির ঘাড়ে ঝোলানো কালো রঙ্গের একটি ব্যাগের মধ্যে থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটক আসামী ও জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়মিত মামলার মাধ্যমে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।