ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে আদালত প্রতিষ্ঠার পর থেকে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ও আইনের শাসন অক্ষুণ্ন রাখতে বারের সদস্যরা যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছেন। স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিসহ সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। যেখানে মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত হয়েছে সেখানেই চট্টগ্রাম বারের আইনজীবীরা জীবনবাজি রেখে লড়াই করে অধিকার আদায় করেছেন। জেলা প্রশাসন ও আইনজীবীদের মধ্যে যে বিরোধ চলমান আছে খুব শীঘ্রই পক্ষদ্বয়ের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে সমিতির যে বৈরীতা তা অচিরেই কাটিয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যে কোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর কোর্ট হিলে জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঞা, মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য এএসএম বদরুল আনোয়ার, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএসএম বজলুর রশিদ, সভাপতিত্ব করেন সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান। বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরো বলেন, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতেও সরকারকে অনেকটা বেগ পেতে হয়। নিজম্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ ও মেট্রোরেলসহ অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের কাজ অতিদ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে যার ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী অনেক উপকৃত হবে। শীঘ্রই এই টানেল উদ্ধোধন করা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ব সভায় এক অনন্য উচচতায় পৌঁছে গেছে। সরকারের এই চলমান উন্নয়নে মন্ত্রী বিচার বিভাগের পাশাপশি আইনজীবীদের সর্বাত্নক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, বিদায়ী সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেম, বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, সহসভাপতি আবদুল হক, অর্থ সম্পাদক মোশারফ হোছাইন, পাঠাগার সম্পাদক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অলি আহমদ, নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন, জামশেদ আলম, মো. ইকবাল হোসাইন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মনজুর আলম, সাজেদা বেগম (সাজু), ইসরাত জাহান মুকুল, মিনহাজ উদ্দিন, রানা মিত্র, আবিদা সুলতানা (শারমিন), ফারজানা হাকিম চৌধুরীসহ বিদায়ী পরিষদের কর্মকর্তা ও সদস্যরা এবং সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণসম্পাদকসহ চট্টগ্রাম আদালতের বিচারক, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি নির্বাচিত পরিষদকে ফুল দিয়ে অভিষিক্ত করেন এবং বিদায়ী পরিষদকে নব–নির্বাচিত পরিষদের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। প্রধান অতিথিকে সমিতির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্বরূপ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। শেষে সংগীত শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।