গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পতন হয়েছে আওয়ামীলীগ সরকারের। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ক্রীড়া সংস্থা ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার বিদ্যমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠণের নির্দেশনা দিয়েছিল। এরপর থেকে আলোচনা চলতে থাকে কোন ফরম্যাটে হবে এই এডহক কমিটি। আর এরই প্রেক্ষিতে ওই প্রজ্ঞাপন জারির ৬ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কিভাবে ক্রীড়া সংস্থাগুলোর এডহক কমিটি গঠন করতে হবে সে নির্দেশনা দিয়ে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে কমিটিগুলো ৭ সদস্যের করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে কারা থাকবেন তারও একটা গাইডলাইন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আহবায়ক হবেন পদাধিকার বলে বিভাগীয় কমিশনার। সদস্য সচিব যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক। জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহবায়ক হবেন জেলা প্রশাসক। সদস্য সচিব জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আহবায়ক হবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সদস্য সচিব উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। প্রত্যেকটি কমিটি হবে ৭ সদস্যের। প্রতিটি কমিটিতে সদস্য থাকবেন ৫ জন। তাদের মধ্যে দুইজন হবেন সরাসরি ক্রীড়া সম্পৃক্ত ব্যক্তি। যেমন খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি। স্থানীয় প্রেক্ষাপটে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ক্রীড়ানুরাগী কিংবা ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থেকে হবেন একজন সদস্য। ক্রীড়া সম্পৃক্ত সংগঠক বা ছাত্র প্রতিনিধি থাকবেন একজন। আরেকজন সদস্য হবে ক্রীড়া সাংবদিক। অ্যাডহক কমিটি গঠন করে তা অনুমোদনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে প্রেরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে এডহক কমিটির সভাপতির অনুমতিক্রমে যেকোন সভায় বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ কোন সহযোগিতা বা পরামর্শের জন্য যেকোন ব্যাক্তি/কর্মকর্তাকে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রন জানানো যাবে।