পটিয়া : পটিয়া প্রতিনিধি জানান, কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার পটিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৯টি মামলা করা হয়েছে। অপরদিকে কর্ণফুলী উপজেলায় সরকারি আদেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় দুটি দোকান সিলগালা করা হয়েছে। এ সময় ১২টি মামলায় ১০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নীলুফা ইয়াসমিন ও কর্ণফুলীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুকান্ত সাহা পৃথক এ অভিযান পরিচালনা করেন। পটিয়া পৌর সদর ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭ হাজার ২৪০ টাকা জরিমানা করে আদায় করেন। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন সেনা ও পুলিশের যৌথ টিম।
নীলুফা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, করোনা মোকাবেলা করতে মাঠে রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন পৌর সদরের ডাকবাংলো, মুন্সেফবাজার, মুন্সেফ বাজার কালী মন্দির রোড, পাঁচুরিয়া, চাপড়া, শান্তিরহাট ছাড়াও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়কের পটিয়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরায় একাধিক ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কর্ণফুলী উপজেলার খুইদ্দ্যারট্যক এবং আইউব বিবি কলেজ রোড এলাকার এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুকান্ত সাহা। সূত্র জানায়, আইন অমান্য করে রাস্তায় বের হওয়ায় কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহীকে এবং মাস্ক পরিধান না করায় পথচারীকে জরিমানা করা হয়। অভিযানে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
হাটহাজারী : হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে হাটহাজারীতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার উপজেলার চৌধুরীহাট, বাস স্টেশন, হাটহাজারী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ার দায়ে ১৫ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে সকাল থেকে হাটহাজারী কলেজ গেইট বাসস্টেশন, জিরো পয়েন্ট, ইছাপুর, চৌধুরীহাট, আমানবাজার, সরকারহাট, নজুমিয়ারহাট, মদুনাঘাটসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ছাড়াও র্যাব এবং সেনা বাহিনী নিয়মিত টহল দিয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে হ্যান্ড মাইকিং সহ বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রশাসন কাজ করছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেল, সিএনজি বেবী ট্যাক্সি এবং ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার নিয়ে অপ্রয়োজনে বের হওয়ায় ১৫ ব্যক্তিকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চন্দনাইশ : চন্দনাইশ প্রতিনিধি জানান, কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয়দিন গতকাল শুক্রবার চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে বনফুল দোহাজারী শাখার সত্বাধিকারী আবুল কাশেমকে ৫ হাজার, গ্রাহক মো. আরমানকে ২ হাজার, পানাহার হোটেলের সত্বাধিকারী খাস্তগীরকে ২ হাজার, পথচারী আলাউদ্দিনকে ২শ, মো. শামসুজ্জামানকে ৩শ, হোসনে আরা বেগমকে ১শ টাকাসহ ৯ হাজার ৬শ টাকা জরিমানা করা করা হয়। অভিযানে জনসাধারণকে সতর্ক করার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা জেরিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৯ জনের নিকট থেকে ৩ হাজার ৪শ ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া ইসলাম জানান, করোনার প্রার্দুভাব বৃদ্ধি পাওযায় ১ জুলাই থেকে সরকারিভাবে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হলেও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘোরাফেরা ও ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়ছে। জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।
আনোয়ারা : আনোয়ারা প্রতিনিধি জানান, লকডাউন অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন পরিচালনার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০ মামলায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ চৌধুরী পিএবি সড়কের কালা বিবির দিঘির মোড়ে এ অভিযান চালান।
তিনি জানান, কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কালা বিবির দিঘির মোড়ে হোটেল খোলা রাখার দায়ে ২ ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া মোটরসাইকেল ও সিএনজি টেক্সি চালানোর দায়ে ৮ চালককে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বান্দরবান : বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, সারাদেশের মতো পার্বত্য বান্দরবান জেলায়ও চলছে দ্বিতীয় দিনের মতো কঠোর লকডাউন। লকডাউনে আইন অমান্য করায় জেলার সাত উপজেলায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম অভিযান চালিয়ে ৩৮টি মামলা ও ১১ হাজার ৭৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আইন অমান্যকারীদের এ মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয়।
প্রশাসনের তথ্যমতে, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে মোবাইল কোর্ট টিম। এছাড়াও সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশ সদস্যরাও মাঠে রয়েছে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় ৩৮টি মামলা এবং ১১ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তীবরীজি জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার কোনো সুযোগ নেই। লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ এবং প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের একাধিক টিম। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
লোহাগাড়া : লোহাগাড়ায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ২৯ মামলায় ১৫ হাজার ৯৪০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলা সদর বটতলী মোটর স্টেশন, আধুনগর খাঁন হাট বাজার, বড়হাতিয়ার মনুফকির হাট বাজার ও সেনেরহাট বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী।
তিনি জানান, চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। লকডাউন অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখা ও বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ায় সংক্রমণ প্রতিরোধ আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারায় ২৯ জনকে ১৫ হাজার ৯৪০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সাথে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১০ পদাতিক ডিভিশনের একটি টিম, থানার এসআই পার্থ সারথী হাওলাদার, ভূমি অফিসের সমির চৌধুরী ও নয়ন দাশ প্রমুখ।
কাপ্তাই : কাপ্তাই প্রতিনিধি জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে জনসাধারণ যাতে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হয়, সবাই যাতে মাস্ক পরে, হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করে, মোড়ে মোড়ে যাতে কেউ আড্ডা না দেয় এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানাকে কাপ্তাই উপজেলার পথে পথে এবং বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। পাশাপাশি ৪১ বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন এবং থানা পুলিশও বিভিন্ন রাস্তায় টহল দেয়।
কাপ্তাই জোন ২৩ বেংগলের উপ-অধিনায়ক মেজর খন্দকার মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, প্রতিদিন করোনা পরিস্থিতি বিরূপ আচরণ করছে। সারাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কাপ্তাই উপজেলায় ইতিমধ্যে ২৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই পরিস্থিতি যাতে আরো খারাপ না হয় সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, মানুষকে সচেতন করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিধিনিষেধ অমান্য করায় ইতিমধ্যে কয়েকজনকে জরিমানাও করা হয়েছে। কাপ্তাই উপজেলায় করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়িতে কঠোর লকডাউনের ২য় দিনেও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর হতে দেখা গেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের টহল রয়েছে। জেলা সদরের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। ঘর থেকে বের হলে জিজ্ঞাসাবাদ করছে প্রশাসন। এসময় বিনা কারণে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণে ১শ ১৪ জনকে ৩৪ হাজার ৭০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ মাহমুদ।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, কোভিড নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ভঙ্গ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১শ ১৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। তিনি সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সীতাকুণ্ড : সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে অভিযান অব্যাহত রেখেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়। সকালে পৌরসদরে অভিযানে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটি) আ স ম জামশেদ খোন্দকার।
অভিযানকালে সলিমপুর এলাকায় অতিথি হোটেলে বসিয়ে খাবার পরিবেশনের দায়ে মালিককে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া স্টেশনারি দোকান, মুদি দোকান, ফার্নিচারের দোকান খোলা রাখায় জরিমানা করা হয়। অভিযানে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা এবং বিভিন্ন অপরাধে ৫টি মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেন।
বাঁশখালী : বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, বাঁশখালীতে লকডাউন কার্যকর ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে উপজেলা প্রশাসন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গতকাল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ২৫ মামলায় ১৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার লকডাউন প্রদান করেছে। বাঁশখালীর প্রধান সড়কে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট ও টহল আরো জোরদার করা হবে।
রাঙ্গুনিয়া : রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, রাঙ্গুনিয়ায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বিধিনিষেধ অমান্য করার অপরাধে ৩৭ মামলায় ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক এই অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত টিম। এসময় পুলিশের একাধিক ভ্রাম্যমাণ দলকে মাঠ পর্যায়ে লকডাউন বাস্তবায়নে অভিযান চালাতে দেখা গেছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব চৌধুরী জানান, লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বিধিনিষেধ অমান্য করে বের হওয়ায় মোটরবাইক, প্রাইভেট কার ও সিএনজি টেক্সি চালকদের পাশাপাশি দোকান খোলা রাখার দায়ে মামলা ও জরিমানা করা হয়। উপজেলার রোয়াজারহাট, ক্ষেত্রবাজার, গোচারা ও শান্তিরহাট বাজারে পরিচালিত অভিযানে ১৪টি মামলায় মোট ২ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে বিকালের দিকে উপজেলার শান্তিরহাট, গোচরা, গোডাউন, ইছাখালী, রোয়াজারহাট, মরিয়মনগর, লিচুবাগান, দোভাষী বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান। এসময় লকডাউন অমান্য করায় ২৩ মামলায় ৭৭ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় তিনি বলেন, চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন। এ কঠোর লকডাউন চলবে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত। এ সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে চলমান লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাপ্তাই সড়ক কেন্দ্রিক এলাকায় কঠোর লকডাউন পালিত হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপজেলার বিভিন্ন অলিগলিতে লোকসমাগম বাড়তে থাকে।
এসব এলাকায় অনেককে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখা ও চায়ের দোকানে বসে আড্ডা মারতেও দেখা গেছে। এদিন রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সাথে সমন্বয় করে র্যাবের টহল টিম থাকার কথা থাকলেও এই বাহিনীর দেখা মেলেনি। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ছিল চোখে পড়ার মতো।












