জেলায় ১ হাজার ৯৬৪ মণ্ডপে হচ্ছে দুর্গাপূজা

৬ দফা দাবি কেন্দ্রীয় পূজা পরিষদের

| সোমবার , ১১ অক্টোবর, ২০২১ at ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ছয় দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্‌যাপিত হবে। এবার চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন ১৫ উপজেলায় সার্বজনীন ১ হাজার ৫৫৩ টি ও পারিবারিক ৪১১ টি সহ সর্বমোট ১ হাজার ৯৬৪ টি পূজামণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা। চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হল প্রাঙ্গণসহ ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত, ঘটপূজাসহ ২৭৬টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন সরকারি ছুটিসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখা। অন্যান্য দাবিগুলো হলো, দেশের সকল উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে ১ টি মডেল মন্দির নির্মাণ, বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করে চন্ডীতীর্থ মেধস আশ্রমের সংস্কার সড়ক উন্নয়ন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আদলে হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের আইন ও অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন বাস্তাবায়নে যে জটিলতা রয়েছে তা নিরসন করতে হবে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব। খবর বাসসের।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হল প্রাঙ্গণসহ ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত, ঘটপূজাসহ ২৭৬টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পূজামন্ডপে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক টিম রাখাসহ উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে ১০ টি নির্দেশনা প্রদান করেন। যার মধ্যে রয়েছে, পুজোমন্ডপে পর্যাপ্ত আলো বাতাস রাখা, মন্ডপের প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক রাখা, মহিলা ও পুরুষ দর্শনার্থীর জন্য আলাদা প্রবেশমুখ, আতশবাজি ও পটকা পরিহার করা, আযান ও নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখা ও বিজয়া দশমী শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজের পর সূর্যোলোক থাকা অবস্থায় প্রতিমা নিরঞ্জন সম্পন্ন করা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি শ্যামল কুমার পালিতের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক নারায়ণ চৌধুরী. অসীম দেব, বিপুল দত্ত, বিজয় কৃষ্ণ, বিশ্বজিৎ পালিত, উত্তম শর্মা, কল্লোল সেন, সাগর মিত্র, রিমন মুহুরী, সুভাষ চৌধুরী, দোলন মজুমদার, রাজিব শীল, কাজল শীল, অধ্যাপক শিমুল দে প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানবপাচার মামলায় সেই প্রক্সি আজাদের অব্যাহতি
পরবর্তী নিবন্ধমণ্ডপে উৎসবের রং