জেলহত্যা দিবস : ইতিহাসের কালো অধ্যায়

| বৃহস্পতিবার , ৩ নভেম্বর, ২০২২ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

জেলহত্যা দিবস। ৩ নভেম্বর । পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে জেলহত্যার ঘটনা। বাঙালি জাতির জীবনে কলঙ্কময় একটি দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই দিনটি জেলহত্যা দিবস নামে পরিচিত। এদের প্রত্যেকেই ছিলেন প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এঁদের ছিল বিশেষ অবদান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সামরিক বাহিনির একাংশের হাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হবার পর ক্ষমতায় আসেন খোন্দকার মোশতাক আহমদ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তাঁরা। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ঘাতকদের ইচ্ছায় গঠিত মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে রাজি হননি এ নেতারা। এভাবে তারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন বলতে হবে। মূলত এ কারণেই বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক আহমেদের শাসনামলে তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। এঁদের প্রত্যেকেই ছিলেন প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এঁদের ছিল বিশেষ অবদান। ৩ নভেম্বর রাতের অন্ধকারে সামরিক বাহিনির একটি দল জেলখানায় ঢুকে কারারক্ষীরা বাধা দিলে খোদ মোশতাকের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসে ঘাতকদের কাজে সহায়তা করার জন্য। তারা ভেতরে গিয়ে বেছে বেছে চার নেতাকে একত্র করে এবং গুলি চালিয়ে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। বাংলার ইতিহাসে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড একটি কালো অধ্যায় হয়ে রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডোমিনিকান এবং পানামার জাতীয় দিবস
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে জোবরা গ্রামে রাস্তার সংস্কার চাই