অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে জেমকন গ্রুপের দুই পরিচালক ও দুই ভাই কাজী আনিস আহমেদ ও কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন–দুদক। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা অনুমোদনের তথ্য গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের দিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। দুদকের অনুসন্ধান দল দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রায় ১১৩ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ এবং ১২৫ কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেনের তথ্য পেয়েছে।
অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিস আহমেদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮০ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তার নামে খোলা ২০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৭৯ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৫৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। অপরদিকে গ্রুপের পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩২ কোটি ৬৬ লাখ ১৬ হাজার ২৪৪ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি তার ১৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৭৪ কোটি ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার ১২৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য দিয়েছে দুদক। খবর বিডিনিউজের।
উপপরিচালক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আল–আমিন ও এ কে এম মর্তুজা আলী সাগরকে নিয়ে গঠিত একটি দল জেমকন গ্রুপের অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে। ছাত্র–জনতার আন্দোলনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর ওই সরকারের সময়কার সুবিধাভোগী বিভিন্ন ব্যক্তি ও শিল্পগোষ্ঠীর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় জেমকন গ্রুপের অর্থপাচারের বিষয়েও অনুসন্ধানে নামে সংস্থাটি। দুদক গত এক বছরে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থপাচার, কর ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে।