জেটির ইজারা বাতিলের দাবিতে লাইটারেজ শ্রমিকদের আল্টিমেটাম

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সী বিচ এলাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্মিত জেটির ইজারা বাতিল করা না হলে বন্দর ও কর্ণফুলী নদীতে সব লাইটারেজ জাহাজে পণ্য উঠানামা বন্ধ করে দেয়া হবে। গত রোববার মধ্যরাতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে লাইটারেজ শ্রমিকরা আন্দোলন করছে।
সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল ও কর্ণফুলী নদীতে অবস্থানকারী লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকদের নানাকাজে জাহাজে উঠানামা করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকরা পতেঙ্গার ১৫ নম্বর থেকে ১৮ নম্বর ঘাট এলাকায় অবস্থান করতেন। তারা স্থানীয় জেটি ব্যবহার করে যাতায়াত করতেন। গত বছর লাইটারেজ জাহাজগুলোকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে পতেঙ্গা সী বিচ এলাকায় নোঙর করে সেখান থেকে যাতায়াত করার নির্দেশ দেয়া হয়। পতেঙ্গা সী বিচ এলাকায় কোন জেটি না থাকায় শ্রমিকরা উঠানামা করতে পারতেন না। তারা স্পিড বোটের মাধ্যমে যাতায়াত করতে বাধ্য হন। জাহাজে উঠা-নামার জন্য পতেঙ্গা সী বিচের স্পিড বোট মালিকরা জনপ্রতি পাঁচশ’ টাকা করে নেয়া শুরু করেন। এটি খুবই ব্যয়বহুল। অনেক শ্রমিক এত টাকা দিয়ে জাহাজে উঠা-নামা করতে পারছেন না। পরবর্তীতে চাইনিজ ঘাট এলাকা দিয়ে শ্রমিকরা সাম্পানে চলাচল করতে থাকেন। এতে দীর্ঘ সময় ও ভোগান্তি চরমে উঠে।
এক পর্যায়ে লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে। ধারাবাহিক বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত মার্চ মাসে নিজস্ব অর্থায়নে পতেঙ্গা সী বিচ এলাকায় একটি ঘাট নির্মাণ করে দেয়। সম্প্রতি ওই ঘাটটি ইজারা দেয়া হয়। ইজারাদার নিজেদের মর্জিমাফিক ভাড়া নির্ধারণ করে শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার উদ্যোগ নেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে শ্রমিক ও ইজারাদারের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মোহাম্মদ নবী আলম গতকাল দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঘাট নির্মাণ করা হয় শ্রমিকদের জন্য। এটি ইজারা দেয়ার কোন কথা ছিল না। শ্রমিকরা আগে যেভাবে ১৫ নম্বর ঘাট দিয়ে যাতায়াত করতো, নতুন এই ঘাট দিয়েও একইভাবে যাতায়াত করবে। কিন্তু হঠাৎ করে ঘাটটি ইজারা দেয়া হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পতেঙ্গা এলাকার চোরাকারবারিদের কাছে ঘাটটি ইজারা দেয়া হয়েছে। বন্দরের বহির্নোঙরে অপতৎপরতা চালানো চোরাকারবারিরাই এই ঘাট নিয়ন্ত্রণ করবে।
তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইজারা বাতিল করা না হলে চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙরে সব ধরনের লাইটারেজ জাহাজ বন্ধ করে দেয়া হবে। আজ মঙ্গলবার মধ্যরাতে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হবে।
সূত্র জানায়, বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে ঘাট নির্মাণ করে দিয়েছে। ওই টাকা তোলার জন্যই ঘাটটি ইজারা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঘাট রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় নির্ধারণের একটি বিষয়ও রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হাই কোর্টের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধনতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ পিবিআইয়ের