দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত জেজু এয়ারের উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৩৭–৮০০ ওড়ার আগে সেটির পরীক্ষায় এর নিরাপত্তায় কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি। জেজু এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কিম ই বায়ে একথা জানিয়েছেন। এমনকি উড়োজাহাজটির ল্যান্ডিং গিয়ারেও অস্বাভাবিক কিছু ছিল না বলে জানান কিম। খবর বিডিনিউজের।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি চাকা বা অন্য কোনো ল্যান্ডিং গিয়ার ব্যবহার না করেই মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সেটি কিছুদূর ছেঁচড়ে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালে বিধ্বস্ত হয়। বিস্ফোরণের পর উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায় এবং এর ধ্বংসাবশেষ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফ্লাইটটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
কেবল দুজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারটি সঠিকভাবে কাজ করছিল কিনা সেটি দুর্ঘটনা তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে কিম বলেন, তদন্তের ফল বের হলেই আপনারা তা জানতে পারবেন। জেজু এয়ারলাইনে যাত্রীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেন তিনি।
কিম বলেন, জেজু এয়ারের অগ্রাধিকার হ‘ল ট্র্যাজেডির দিকে মনোনিবেশ করা। বিমান দুর্ঘটনায় যাদের প্রিয়জন মারা গেছে সেই পরিবারের পাশে দাড়ানো। বিমান সংস্থাটি এখন পরিস্থিতি দেখভালের জন্য সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারগুলোকে জরুরি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে জেজু এয়ার।
তারা শেষকৃত্যের ব্যয় বহন করবে এবং শিগগিরই এই অর্থ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কিম।