জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় বাজুস

| সোমবার , ২২ মে, ২০২৩ at ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ

জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। একই সঙ্গে আগামী ২০২৩২৪ অর্থবছরের বাজেটে জুয়েলারি পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ, অপরিশোধিত আকরিক সোনায় আরোপিত সিডি ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১ শতাংশ ও আংশিক পরিশোধিত সোনার সিডি ১০ শতাংশের পরিবর্তে আইআরসি ধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের শুল্কহার ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাজুস।

মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে বাজুস কার্যালয়ে ২০২৩২৪ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রাকবাজেট সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। আরও উপস্থিত আছেন বাজুসের সহসভাপতি ও স্ট্যাডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাঙেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বাজুসের সহসভাপতি রিপনুল হাসান, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহসম্পাদক ও স্ট্যাডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সমিত ঘোষ অপু, স্ট্যাডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব পবন কুমার আগরওয়াল।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের প্রাচীন শিল্পের মধ্যে অন্যতম জুয়েলারি খাত। বর্তমানে চরম সঙ্কটে দিশেহারা এই জুয়েলারি শিল্পের জন্য প্রয়োজন সরকারের নীতি সহায়তা। অপার সম্ভাবনা থাকার পরও, সুষ্ঠু রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও নীতি সহায়তার অভাবে জুয়েলারি শিল্প এখন হুমকির মুখে পড়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ২০২২ সালের প্রতিবেদন মোতাবেক বিশ্ব বাজারে সোনার চাহিদা ছিল ৪ হাজার ৭৪০ টন। এরমধ্যে সোনার অলংকারের চাহিদা ২ হাজার ১৮৯ দশমিক ৮ টন।

বাংলাদেশে সোনার বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৪০ টন। তবে প্রকৃত চাহিদা নিরূপণে সরকারের সমীক্ষা প্রয়োজন। বৈধভাবে সোনার চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে বড় বাধা কাঁচামালের উচ্চমূল্য, অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়, শিল্প সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির উচ্চ আমদানি শুল্ক। বর্তমানে জুয়েলারি শিল্পের প্রায় সকল ধরনের পণ্য ও যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। যা স্থানীয় অন্যান্য শিল্পে আরোপিত শুল্কের চেয়ে অনেক বেশি। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে উচ্চ ভ্যাট হার ও অতিরিক্ত উৎপাদন খরচের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দামের পার্থক্য হচ্ছে। এতে ক্রেতা হারাচ্ছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ছোট ছোট জুয়েলারী ব্যবসায়ী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীর মেখল ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডে উপনির্বাচন ২৫ মে
পরবর্তী নিবন্ধঐক্য পরিষদ উত্তর জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী