জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্রে ভারসাম্য আসবে : সালাহউদ্দিন

| রবিবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ at ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

জুলাই সনদ সইয়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে যেটা বেশি জরুরি, তা হচ্ছেগণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখা, যার যাত্রা শুরু হয়েছে গতকাল জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে। এটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোতে গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার বিনির্মাণ হবে। তার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সব অঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা হবে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকারসহ সব মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন এবং ভোগ করা সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। খবর বিডিনিউজের।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সদস্যদের নিয়ে গতকাল শনিবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সকলকে ধৈর্য, সহনশীলতা, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চর্চার আহ্বান রেখে আমি বলতে চাই, আসুন আমরা এগিয়ে যাই। তাহলে আমরা সত্যিকার অর্থে একটি কার্যকর শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে পারব। আমাদের শহীদদের আত্মত্যাগ এবং রক্তদান সফল হবে।

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদে সই করে ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। তবে কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি তুলে সেই সনদে সই করেনি ৬টি দল। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সালাহউদ্দিন বলেন, আমার জানা মতে, এনসিপি এবং তিনটি কি চারটি বাম রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যেতে পারেনি। আমি বলব না, স্বাক্ষর করেনি। স্বাক্ষর করার সুযোগ উন্মুক্ত আছে। আমি আশা করি, তারা ভবিষ্যতে সনদে স্বাক্ষর করবেন। এতে করে আমাদের আগামী নির্বাচনে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা মনে করি, সহনশীলতা সবার মধ্যে আসবে, হয়তো তাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে, সেটা সরকারের সঙ্গে আলাপআলোচনা করবে।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা ১৯৯৯ সালের ১৮ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার বাবা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি রক্ষায় এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।

জুলাই সনদ সইয়ের আগে শুক্রবার দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেওয়া জুলাই যোদ্ধাদের সরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই যোদ্ধারা আমাদের সঙ্গেও কথা বলেছিল, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গেও কথা বলেছে। তাদের একটা যৌক্তিক দাবি ছিল, সেই যৌক্তিক দাবিটা পূরণের জন্য আমি নিজেও স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, কথা বলেছিলাম।

সেটা ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ সঠিকভাবে সংশোধন করেছেন। এরপর তাদের অসন্তুষ্ট থাকার কথা নয়। যেসব বিশৃঙ্খলা হয়েছে, আমরা খোঁজ নিয়েছি, এটা তদন্তাধীন আছে। তিনি বলেন, গতকালের ঘটনায় দেখা গেছে, জুলাই যোদ্ধাদের নামে কিছুসংখ্যক ছাত্র নামধারী উচ্ছৃঙ্খল লোক ঢুকেছে। সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে আমি মনে করি। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী যে এখনো সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, সেটা গতকালকে দৃশ্যমান হয়েছে। এখানে কোনো জুলাই যোদ্ধা, জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কোনো সঠিক সংগঠন অথবা জুলাই যোদ্ধাদের কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না।

এ সময়ে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, নাসির উদ্দিন অসীম, শামীমুর রহমান শামীম, মোহাম্মদ আলী, আমিরুল ইসলাম কাগজী উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাবেদ-ওয়াসিকাসহ ১৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
পরবর্তী নিবন্ধজুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে মন্তব্যের জন্য সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে বললেন নাহিদ