নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) এমপি পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সর্বমোট পাঁচজন প্রার্থী। তন্মধ্যে চারজন দলীয় এবং অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এই পাঁচ প্রার্থী হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াত ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ১১ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. ছরওয়ার আলম কুতুবী, গণ অধিকার পরিষদের মো. আবদুল কাদের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন আজ সোমবার পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (ডিসি) ও চকরিয়া উপজেলা সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পৃথক এই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।
আজ সোমবার শেষদিনে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহীন দেলোয়ারের নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ১১ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী ও কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আবদুল্লাহ্ আল ফারুক।
জুলাই আন্দোলনে কক্সবাজারে প্রথম শহীদ হওয়া চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর শহীদ আহসান হাবিবের বাবা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে সাথে নিয়ে জামায়াত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন সোমবার বিকেলে।
এ সময় সাথে আরও ছিলেন- কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বশর, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর আরিফুল কবির, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিন, মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আমীর মাওলানা ফরিদুল আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মনজু, চকরিয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক, চকরিয়া উপজেলা দক্ষিণ জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মোজাম্মেল হক, বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদি, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান, ছাত্রশিবিরের শহীদ মহিউদ্দিন মাসুমের বাবা ফজলুল কাদেরসহ জুলাই আন্দোলনে চকরিয়ায় নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতৃবৃন্দ।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১১ দলীয় জোট প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগের আদর্শ ধারণ করেই আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। জনগণের অধিকার ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামী বদ্ধপরিকর। তাই সকলের অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।












