বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য ও গণ–প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গত ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমীনের সঞ্চালনায় উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন, নগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মোহাম্মদ ইউনুস, মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এ কে এম ফজলুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক মসরুর হোসাইন, সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম, ছাত্রশিবিরের চবি শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী, নগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহীম রনি।
প্রবন্ধ উপস্থাপনে নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লব বা জুলাই অভ্যুত্থান যে নামেই ডাকা হোক না কেন সেটা ছিলো দীর্ঘ দেড় যুগের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানে ছাত্র–শ্রমিক জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণ বিস্ফোরণ। এ আন্দোলনে অবদান রয়েছে সকল শ্রেণি–পেশার, জেন্ডার বা বয়স, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের। ছাত্ররা এ আন্দোলন শুরু করলেও ক্রমেই এটি গণরূপ নিয়েছে এবং এক পর্যায়ে গণ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এটি ছিলো শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত নিরস্ত্র ও নিরিহ মানুষের গণ আন্দোলন যা পরাস্ত করেছে ফ্যাসিবাদ তোষণকারী রাষ্ট্রের সকল সশস্ত্র বাহিনী ও কাঠামোকে। জুলাই বিপ্লব সফল হওয়ার পেছনে কৃতিত্ব পাওয়ার হকদার হচ্ছে দু’সহস্রাধিক শহীদ, হাজারো পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা এবং হাজার হাজার নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা। শহীদেরাই হচ্ছে বিপ্লবের আসল নেতৃত্ব দানকারী প্রধান মাস্টার মাইন্ড। তারাই অতীতের গ্লানি মুছে ফেলে নতুনভাবে বৈষম্যহীন ইনসাফপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ দেখিয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।