নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শহীদ স্মৃতি সম্মাননা ও আহতদের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে ‘জুলাই ২৪’ শীর্ষক সাময়িকীতে ফয়সাল আহমেদ শান্তর ছবি না থাকা নিয়ে একটি পক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এছাড়া আন্দোলন নিয়ে এক বক্তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে হয়েছে হট্টগোলও। এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন তাদের শান্ত করেন। পরে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
অনুষ্ঠানে মেয়র শাহাদাত বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদরা শুধু একটি সময়ের প্রতীক নন, তাঁরা গণতন্ত্র, ন্যায় ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের উচিত তাঁদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে আসা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শহীদ স্মৃতি সম্মাননা ও আহত সংবর্ধনা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্বাস উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নছরুল কদির, সিডিএ বোর্ড মেম্বার সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ। অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত বলেন, আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি। ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্নভাবে আমাদের মাঝে অনৈক্য তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে। এই জায়গা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, মুক্তযুদ্ধে যে গণতান্ত্রিক চেতনা নিয়ে শহীদরা আত্মত্যাগ করেছেন, আজকের তরুণ সমাজকে সেই চেতনাই ধারণ করতে হবে। গণতন্ত্রের পথ কখনো মসৃণ ছিল না, কিন্তু জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে সংগ্রাম আমাদের পূর্বসূরিরা করেছেন, তা আমাদের জন্য দিকনির্দেশনা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. শাকিল আরিফ চৌধুরী এবং সদস্য ডা. শামিম হায়দার তালুকদার, ডা. দলিলুর রহমান, ডা. ইশরাত জাহান, সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ, রাকিবুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, মো. নাসিম আহমেদ রিন্টু, ডা. ফরিদ উদ্দিন, মো. আলিফ উদ্দিন রুবেল, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ওয়াকিজুল ইসলাম, হাবিবুল করিম, তানিম আল মাহমুদ, মারুফ মোহাম্মদ সাজিদ রোহান, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ফরহাদ।