অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার কারো প্রতি কোনোধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পোষণ করে না। তবে যারা দেশ পরিচালনার নামে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি করেছে, সত্যিকারের অপরাধী, যেমন মানুষ খুন করেছে, দেশের টাকা লুট করে নিয়ে গেছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে। জাতি এই সরকারের কাছে তাই প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, জুলাই–আগস্ট বিপ্লবে যারা আমাদের ভাইদের খুন করেছে, আহত করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করাই এ সরকারের লক্ষ্য।
গতকাল শনিবার দুপুরে কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের আহসান হাবিবের পরিবারের সদস্য এবং জুলাই–আগস্ট বিপ্লবের দ্বিতীয় ও চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ পেকুয়ার ওয়াসিম আকরামের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে গণমাধ্যমে দেয়া সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, জুলাই–আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ওয়াসিমদের জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। বর্তমান সরকার একটি জুলাই বিপ্লব ফাউন্ডেশন গঠন করবে। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শহীদ এবং আহত পরিবার আজীবন সহায়তা পাবে। বিপ্লবে সারাদেশে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকার ৩০ লাখ টাকা করে সহায়তা দেবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা গতকাল শনিবার সকালে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছড়ারকুল গ্রামে শহীদ আহসান হাবিবের পরিবারের সদস্যদের হাতে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের দেয়া দুই লাখ টাকার অর্থ সহায়তার চেক তুলে দেন। একইদিন দুপুরে পেকুয়ায় শহীদ ওয়াসিম আকরামের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন তার পিতা শফিউল আলমের হাতে। এ সময় তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ–খবর নেন। একইসময়ে তিনি শহীদ আহসান হাবিব এবং ওয়াসিম আকরামের কবর জিয়ারত করেন। এদিকে চকরিয়া থেকে পেকুয়া যাবার আগে দুপুরে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন চকরিয়া আবাসিক মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও চকরিয়া গ্রামার স্কুল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সেখানে পৃথকভাবে দুটি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ এরফান উদ্দিন, চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া, হাফেজ আমান উল্লাহ, চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জুবাইদুল হক, চকরিয়া গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ ও গ্রামার স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।