দায়িত্ব পালনে ‘প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না’ জানিয়ে ছাত্র–জনতার গণ আন্দোলনের সময় হতাহতদের সহায়তায় গঠিত ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ সাধারণ সম্পাদকের পদ ‘ছেড়ে দিয়েছেন’ সারজিস আলম।
আওয়ামী সরকারের পতন ঘটানো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক ফেসবুকে পোস্টে এ ঘোষণা দিয়েছেন। সেখানে সারজিস বলেছেন, তার পদত্যাগের পর ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামের কোনো পদ আর ফাউন্ডেশনে নেই। এ বিষয়ে জানতে সারজিস আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। খবর বিডিনিউজের।
‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ কল সেন্টারে কর্মরত সাইদুর রহমান শাহিদ জানান, সারজিস ভাই অনেক দিন ধরেই ফাউন্ডেশনের সাথে নেই। পোস্টে যা লিখেছেন ঠিক আছে।
কেন ফাউন্ডেশন ছেড়ে দিয়েছেন সেই ব্যাখ্যায় সারজিস কাজের ক্ষেত্রে তার সময়ের স্বল্পতাকে কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমি আমার সর্বোচ্চ সময় ফাউন্ডেশনে দিতে পেরেছি ততদিন আমি দায়িত্ব পালন করেছি। যখন মনে হয়েছে, এখন থেকে ফাউন্ডেশনে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া আমার জন্য সম্ভব হবে নয় তখন আমি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত এ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১০ সেপ্টেম্বর গঠিত এ ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সারজিস বলেছেন, এখন থেকে ‘এঙিকিউটিভ কমিটি’ পুরো অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। চীফ এঙিকিউটিভ অফিসার (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) সেখানে অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বর্তমানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।