চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা পাবেন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি–বেসামরিক, স্ব–শাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দিলরুবা শাহীনা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বাসসের।
চাকরিরতদের ক্ষেত্রে বেতন গ্রেড ভেদে গ্রেড ১ ও তদূর্ধ্ব থেকে গ্রেড ৯ পর্যন্ত ১০ শতাংশ এবং গ্রেড ১০ থেকে গ্রেড ২০ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এ বিশেষ সুবিধা চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০০০ (এক হাজার) টাকা ও পেনশন ভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হারে প্রদেয় হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জাতীয় বেতনস্কেল এর আওতাভুক্ত সরকারি–বেসামরিক, স্ব–শাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনারগণসহ পেনশনভোগী ব্যক্তিবর্গের জন্য ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে বেতনগ্রেড ভেদে (গ্রেড ১ এবং তদূর্ধ্ব থেকে গ্রেড ৯ পর্যন্ত) ১০% এবং (গ্রেড ১০ থেকে গ্রেড ২০ পর্যন্ত) ১৫% হারে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হলো।
এতে আরো বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জুলাই হতে প্রতিবছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর গ্রেড ১ ও তদূর্ধ্ব থেকে গ্রেড ৯ এর অন্তর্ভুক্ত চাকুরিরত কর্মচারীগণ ১০ শতাংশ হারে এবং গ্রেড ১০ থেকে গ্রেড ২০ এর অন্তর্ভুক্ত চাকুরিরত কর্মচারীগণ ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
অবসর–উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীগণ পিআরএল গমণের পূর্বকালীন সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে গ্রেডভিত্তিক হারে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীগণসহ সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীগণ পেনশনের বিদ্যমান অংশের ওপর গ্রেডভিত্তিক হারে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। তবে যে সকল অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন এবং এখনো পেনশন পুনঃস্থাপনের জন্য উপযুক্ত হননি, তাদের ক্ষেত্রে এ বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
এদিকে জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে সরকারি কর্মচারি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অব্যবহিত পূর্বে সর্বশেষ আহরিত তার মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে, পেনশনের বিদ্যমান অংশ অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বের সর্বশেষ আহরিত মূল বেতনের ভিত্তিতে যে কোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীগণ সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ (অর্ধেক)-এর ওপর গ্রেড ভিত্তিক হারে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। তবে বিনা বেতনে ছুটিতে (লিভ ইউদআউট পে) থাকাকালীন কর্মচারীগণ এ বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে প্রদত্ত অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য স্ব–শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে, যারা জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর আওতাভুক্ত, এ বিশেষ সুবিধা প্রদান বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব বাজেট হতে মেটাতে হবে।
উল্লেখ্য, এই প্রজ্ঞাপনের দ্বারা অর্থ বিভাগের ১৮ জুলাই ২০২৩ সালের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে।