‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হবে ১৫ অক্টোবর

| শুক্রবার , ১০ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

রাষ্ট্র সংস্কারের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা সম্বলিত জুলাই জাতীয় সনদে আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষর করবে রাজনৈতিক দলগুলো। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, সেদিন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই সনদ স্বাক্ষরিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে কমিশনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। খবর বিডিনিউজের।

কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করবেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কমিশনের পাঁচটি বৈঠকে পাওয়া মতামত বিশ্লেষণ করা হয়। বৈঠকে আশা প্রকাশ করা হয়, বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিমতগুলো বিশ্লেষণ করে শিগগিরই বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশ এবং চূড়ান্ত করা জুলাই সনদ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, ও মো. আইয়ুব মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় অংশ নেন।

বুধবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার সমাপনি বক্তব্যে কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ বলেছিলেন, জুলাই সনদের স্বাক্ষরের জন্য তিন চতুর্থাংশের বেশি দলের পক্ষ থেকে নাম পাঠানো হয়েছে। কিছু কিছু দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কারণে সম্ভবত সাংগঠনিক ব্যস্ততার কারণে পাঠাতে পারেনি। আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। বেশ কয়েকটি দল আমাদের জানিয়েছেন আগামী এক দুই দিনের মধ্যেই তারা তাদের নাম পাঠাতে পারবেন। এই নামগুলো পাওয়া গেলে কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা চাই যেন আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে, এই যে ঐতিহাসিক দলিল আমরা সকলে মিলে তৈরি করেছি, বিশেষত আপনারা তৈরি করেছেন, সেটি যেন স্বাক্ষর হয়। এই স্বাক্ষর ছাড়াও আমাদের দিক থেকে আমরা একটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করব।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট আয়োজন করতে একটি অধ্যাদেশ জারির মতামত পাওয়ার মধ্য দিয়ে বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সমাপ্তি ঘটে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হচ্ছে, আসামিরা পাচ্ছেন দায়মুক্তি
পরবর্তী নিবন্ধআন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ উন্নয়নে নতুন প্রকল্প