১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর এই দেশে গণতন্ত্র বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান আবার একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে – গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। জুলাইয়ের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে, না হলে জুলাই শহীদদের আত্মদান বৃথা যাবে। গতকাল সোমবার জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. শফি উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম। সঞ্চালনা করেন দ্বিতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন বাবলু। শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পরে জুলাই শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন খতিব ছালেহ মোস্তফা।
জুলাই আন্দোলনে আহত যোদ্ধা আবদুল্লাহ আল সাহেদ, মো. ওমর ফারুক, মিনার হোসেন, মুহিত হোসেন, মো. ফারহানুল ইসলাম, মো. ফাহিম, সজীব, এখলাস মিয়া, রাসেল, সোহাগ ও শহীদ ওয়াসিক আকরামের পরিবারের হাতে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিশেষ আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়।
সভাপতি এস এম সাইফুল আলম বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতা একত্রিত হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরূদ্ধে সংগ্রাম করে এদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে। অনেক সন্তান, ভাই–বোন পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। যদি তাদের আত্মত্যাগ না থাকত, ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান হতো না।
সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী বলেন, এই দেশের ইতিহাসে প্রতিটি গণআন্দোলনের পেছনে বৈষম্যই মূল কারণ ছিল। সভায় বক্তব্য দেন, আহত জুলাই যোদ্ধা আবদুল্লাহ আল সাহেদ ও মো. ওমর ফারুক। আরও বক্তব্য দেন, উপদেষ্টা মো. নুরুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, সিএন্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন ভুইয়া প্রমুখ। আলোচনা সভার পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন, কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান এবং শহীদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।