সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কটূক্তি করায় কুষ্টিয়ায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার বলেন, তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় কনস্টেবল ফারজুল ইসলাম রনিকে সাময়িক বরখাস্ত করে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ করা হয়েছে।
১ জুলাই ফারজুল ইসলাম ফেইসবুকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি পোস্ট দেন। পরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি মুছে দেন। তখন তিনি দাবি করেন, তার আইডিটি হ্যাক হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সেটি সমালোচনার মধ্যে পড়ে। খবর বিডিনিউজের। কনস্টেবল ফারজুল ইসলাম রনিকে গ্রেপ্তার ও বরখাস্তের দাবিতে ওই রাতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে কুষ্টিয়া–ঈশ্বরদী মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। পরদিন ২ জুলাই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিকদার হোসেন ইমাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রণব কুমার ও পরিদর্শক দেবাশীষ রায়কে নিয়ে একটি কমিটি করা হয়। এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া শাখার সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র–জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত জুলাইকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশ সদস্য ফারজুল ইসলাম রনির বিরুদ্ধে নেওয়া এই উদ্যোগ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ফারজুল ইসলাম রনি ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার দহকুলা গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মৃধার ছেলে। তিনি ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই থেকে কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তিনি ছুটিতে গিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে।