হাজার হাজার আন্দোলনকারীর আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ ১৫ থেকে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ সরকারকে বিদায় জানিয়েছি। এখনো অনেক আন্দোলনকারী কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। নতুন প্রজন্মের জুলাই অভ্যুত্থানের এই স্পিরিট সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং মনে ধারণ করতে পারলেই সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।
গত ২৪ জানুয়ারি তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘শিশু, কিশোর–কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত তারুণ্যের উৎসব ও বহিরাঙ্গণ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শিশু, কিশোর–কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম প্রকল্পের সার্বিক উল্লেখ করে তথ্য সচিব বলেন, এই প্রচার কার্যক্রমের প্রধান তিনটি উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশু, কিশোরী এবং নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানসিকতা উন্নয়ন। আমাদের সমাজে নারীদের প্রতি নানা বঞ্চনা শুরু হয় যখন তারা গর্ভবতী হয়। এসময় মায়ের প্রচুর পুষ্টির প্রয়োজন হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে যেন সে পুষ্টি যোগান নিশ্চিত করে সে জন্য সমাজের সকল স্তরে মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। কেননা একজন পুষ্টিবান নারী, পুষ্টিবান সন্তান জন্ম দিতে পারে। আমরা চাই সমাজে আমাদের সন্তানরা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক।
নারীর অবদানের কথা উল্লেখ করে সচিব বলেন, সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়তে হলে একজন শিশু কিশোরী কিংবা নারীর ভূমিকা সমান। কেননা একজন মা’ই পারেন পৃথিবীকে বদলাতে। সুন্দর সমাজ ও পৃথিবী গড়তে মায়ের যে অবদান তা নতুন প্রজন্মেকে শিশু বয়স থেকে জানিয়ে দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ–উল–আলম ও যুগ্মসচিব রিয়াসাত আল ওয়াসিফ, বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকা কেন্দ্রের জেলারেল ম্যানেজার নূরুল আজম, শিশু, কিশোর–কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মাহাবুবা ফেরদৌস বক্তৃতা করেন। খবর তথ্য বিবরণীর।