প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা!
আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন, পবিত্র ঈদুল আযহা কুরবানির ঈদের প্রধান আমল পশু কুরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করুন। কুরবানির পশুর মাংস, আত্নীয় স্বজন ও দরিদ্রের মধ্যে বিতরণ করুন। কুরবানির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের পাশাপাশি, পারিবারিক, সামাজিক, মানবিক, আধ্যাত্নিক পর্যায়ে কুরবানির শিক্ষা ও তাৎপর্য প্রসঙ্গে ইসলামি নির্দেশনা মেনে চলুন।
কুরবানি অর্থ: কুরবান আরবি শব্দ। এর অর্থ ত্যাগ, বিসর্জন ও নৈকট্যলাভ, আল্লাহর নবী হযরত ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র হযরত ইসমাঈল (আ.)’র পবিত্র স্মৃতি জড়িত। ঈদুল আযহা ও কুরবানি মুসলমানদের ত্যাগের উৎসব ও পবিত্র ইবাদত। এটি ঈদুল কুরবা বা ঈদুন নাহর নামেও অভিহিত। ভারত, পাকিস্তানে ঈদুল আযহাকে বকরা ঈদও বলা হয়। মিশর সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এটাকে ঈদে “বাকারাহ” বলা হয়। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে এটা শুধু কুরবান নামে পরিচিত। পবিত্র কুরবানি উপলক্ষে সামর্থবান বান্দাদের ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর ধনী দরিদ্র সমর্থ অসমর্থ সকল মেহমানের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন বলে এটি আল্লাহর জিয়াফতের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
পবিত্র কুরআনের আলোকে কুরবানি: মহাগ্রন্থ আল কুরআনে কুরবানির বিশদ আলোচনা রয়েছে। কুরবানির ইতিহাস এক প্রাচীন ইতিহাস। হযরত আদম (আ.)’র সময় থেকেই কুরবানির সূচনা হয়েছে। মানব ইতিহাসে সর্বপ্রথম কুরবানি সংঘটিত হয় তাঁর পুত্রদ্বয় হাবিল ও কাবিলের মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেছেন, “আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত আপনি তাদেরকে যথাযথভাবে শুনান। যখন তারা উভয়ে কুরবানি করেছিল তখন একজনের কুরবানি কবুল করা হলো এবং অন্যজনের কবুল হলো না। সে বললো আমি তোমাকে হত্যা করবই। অপরজন বলল অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকীদের কুরবানি কবুল করে থাকেন। (সূরা: আল মায়িদা, আয়াত: ২৭)
কুরবানি ইবরাহীম (আ.)’র আত্মত্যাগের নজির বিহীন স্মারক: হযরত ইবরাহীম আলায়হিস সালাম’র কুরবানির অবিস্মরণীয় ঘটনাকে জীবন্ত করে রাখার জন্যই মহান আল্লাহ পাক উম্মতে মোহাম্মদীর উপর কুরবানির বিধান ওয়াজিব করে দিয়েছেন। পৃথিবীর সর্বপ্রথম কুরবানি হযরত আদম (আ.)’র দুই পুত্র হাবিল ও কাবিল’র কুরবানি। দুজনই কুরবানি দিল, আল্লাহ তা’আলা হাবিলের কুরবানি কবুল করলেন। হাবিলের যে দুম্বাটি আল্লাহ তা’আলা কবুল করেছিলেন সেটিকে আল্লাহর হুকুমে হযরত ইসমাঈল (আ.)’র পরিবর্তে কুরবানি দেয়া হয়। হযরত ইবরাহীম (আ.)কে ঈমানের কঠিন পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য দান করে হযরত ইসমাঈল’র পরিবর্তে এ দুম্বাটি আল্লাহ তা’আলা কুরবানি হিসেবে কবুল করেন। মহান আল্লাহ তাঁর নবী হযরত ইবরাহীম (আ.) কর্তৃক তদীয় পুত্র ইসমাঈল (আ.)’র কুরবানির বর্ণনা প্রসঙ্গে এরশাদ করেন, “অত:পর সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হলো তখন (ইবরাহীম) বললো, হে আমার পুত্র আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি। এখন তোমার অভিমত কি বল? সে বললো, হে আমার পিতা, আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তা–ই করুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে অবিলম্বে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন। অত:পর যখন উভয়ে আমার নির্দেশের প্রতি আত্মসমর্পণ করলো ইবরাহীম তাঁর পুত্রকে কাত করে শায়িত করল তখন আমি তাকে আহবান করে বললাম হে ইবরাহীম। নিশ্চয় তুমি স্বপ্নকে সত্য করে দেখালে। এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা ছিলো। আমি তাকে মুক্ত করলাম এক কুরবানির বিনিময়ে আমি একে পরবর্তীদের জন্য স্মরনীয় করে রেখেছি, শান্তি বর্ষিত হোক ইবরাহীমের উপর। আমি এভাবেই পুরস্কৃত করি সৎকর্ম পরায়নদেরকে। নিশ্চয় সে আমার পূর্ণ ঈমানদার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা: সাফফাত: ৩৭.১০২–১১১)
আয়াত সংশ্লিষ্ট প্রাসঙ্গিক তাফসীর: হযরত ইসমাঈল (আ.)’র বয়স তের বৎসরে উপনীত হলে হযরত ইবরাহীম (আ.) পুত্রকে যবেহ করার বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশের কথা প্রকাশ করেন এ স্বপ্নের কথা মক্কা মুআয়যামায় জিলহজ্ব মাসের অষ্টম রাতে তারপর নবম রাতে তারপর দশমরাতে, বিশেষ করে ঈদুল আযহার দিন ভোর বেলায় নিজ সন্তানকে একথা প্রকাশ করেন। হযরত ইবরাহীম (আ.) তাঁরপুত্র হযরত ইসমাঈল (আ.)’র নিকট থেকে যবেহের বিষয়ে মতামত গ্রহণ এ জন্যই ছিলো যে, হযরত ইবরাহীম (আ.)’র যবেহ করাও ইবাদত হোক, আর হযরত ইসমাইল (আ.)’র যবেহ হওয়াটিও ইবাদতে গণ্য হোক। বর্ণিত আয়াত থেকে আরো প্রতীয়মান হলো নবীদের স্বপ্নও শরীয়তের হুকুম হিসেবে বিবেচিত। আয়াত থেকে আরো প্রতীয়মান হলো ইনশাআল্লাহ বলা নবীগণের সুন্নাত। বিনা অপরাধে সন্তানকে যবেহ করা শরীয়ত মতে হারাম ছিলো কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হয়ে হযরত ইসমাঈল (আ.)কে যবেহ করা তার জন্য ফরজ হয়েছিল কিন্তু প্রেম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় ১০ জিলহজ্ব তারিখে মিনায় হযরত ইসমাঈল (আ.)’র গলায় ছুরি চালানোর পরও ছুরি কাজ করলো না, হযরত ইসমাঈল (আ.)’র একটি লোমও কাটলোনা। বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্মৃতি স্মারক প্রতিষ্ঠা করা শরীয়তের নির্দেশ। ঈদুল আযহার নামায, কুরবানি, তাকবীর–ই তাশরীক সবই হযরত ইবরাহীম (আ.)’র স্মৃতি বহন করে এবং এতদসঙ্গে তাঁর পরিবারের স্মৃতি জড়িত, যেমন হজ্বের মধ্যে সাফা ও মারওয়ার মধ্যভাগে প্রদক্ষিণ করা হযরত হাজেরার স্মৃতি বহন করে। কুরবাানি হযরত ইবরাহীম (আ.) ও হযরত ইসমাঈল (আ.)’র স্মৃতির স্মারক। যবেহের পাক্কালে এক বিস্ময়কর দৃশ্য অবতারনা হলো, আল্লাহর নির্দেশে হযরত জিবরাঈল (আ.) জান্নাত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে আসলেন, ছুরির নীচে ইসমাঈল (আ.)’র পরিবর্তে একটি দুম্বা জবেহ হয়ে গেল, তখনি হযরত ইসমাঈল (আ.) দাঁড়িয়ে মুছকি হাসি দিলেন এ মুহূর্তে জিবরাঈল (আ.) সুউচ্চ কণ্ঠে আল্লাহ আকবর ধ্বনি উচ্চারণ করলেন। হযরত ইসমাঈল (আ.) লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর ধনি দিলেন এবং হযরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর প্রশংসার বানী “ওয়ালিল্লাহিল হামদ” পাঠ করলেন সম্মিলিত ধ্বনির সমষ্টিই হচ্ছে তাকবীর–ই তাশরীক।
ঈদুল আযহার দিন আগে নামায, পরে কুরবানি: কুরবানি হযরত ইবরাহিম (আ.)’র সুন্নাত। যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীয়তে এ উম্মতের সামর্থবানদের উপর ওয়াজিব করে ইবরাহীম (আ.)’র প্রতি কৃতজ্ঞতার স্মারক হিসেবে অবশিষ্ট রাখা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, “সুতরাং আপনার রবের জন্য নামায আদায় করুন এবং কুরবানি করুন। (সূরা: কাউসার, আয়াত: ২)
আয়াতের ব্যাখ্যায় মিরকাত প্রণেতা আল্লামা মোল্লা আলী কারী (রহ.) বর্ণনা করেন, “আপনি ঈদের নামায পড়ুন এবং কুরবানি করুন। (মিরকাত, খন্ড: ৩, পৃ: ১০৭৭)
হাদীস শরীফে প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজের পূর্বে নাহার করতেন, অতঃপর আদেশ করা হয় নামায পড়ে এরপর কুরবানি করতে। (বাহারে শরীয়ত)
একদা কিছু সাহাবী ঈদুল আযহার দিন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঈদুল আযহার নামায আদায়ের পূর্বে কুরবানি করে ফেলেছেন তখনি আল কুরআনের সূরা হুযরাতের আয়াতে করীমা অবতীর্ণ হলো হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আগে বাড়বে না এবং আল্লাহকে ভয় করো, নিশ্চয় আল্লাহ শুনেন জানেন। (সূরা: হুযরাত, আয়াত: ১)
প্রতীয়মান হলো যে কোন ব্যাপারেই হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অগ্রবর্তী হয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। যেন প্রিয় রাসূলের প্রতি বে–আদবী না হয়।
হাদীস শরীফের আলোকে কুরবানির ফযীলত: প্রত্যেক সামর্থবান মুসলমান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের লক্ষ্যে সন্তুষ্টচিত্তে কুরবানি করা অপরিহার্য। মহান আল্লাহ প্রত্যেকের অন্তর্যামী। পশু ক্রয়ের প্রতিযোগিতা ও লৌকিকতা যেন উদ্দেশ্য না হয়, সুন্নতে ইবরাহীমের উপর আমলের উদ্দেশ্যে অন্তরে খোদাভীতি তাকওয়া অর্জনই প্রধান লক্ষ্য হওয়া বাঞ্চনীয়।
হযরত যায়েদ ইবন আরকাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কিছু সাহাবী প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কুরবানি কি? নবীজি উত্তর দিলেন, তোমাদের পিতা হযরত ইবরাহীম (আ.)’র সুন্নাত, সাহাবাগন পূনরায় প্রশ্ন করলেন এই কুরবানির মধ্যে আমাদের জন্য কি উপকারিতা রয়েছে? নবীজি বললেন, কুরবানির পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি নেকী রয়েছে। দুম্বা ও ভেড়ার প্রতিটি পশমের বিনিময়েও সওয়াব রয়েছে। (ইবনে মাযাহ, খন্ড: ২, পৃ: ২২৬, তিরমিযী, মিশকাত)
যার উপর কুরবানি ওয়াজিব: যে ব্যক্তি নিসাবের মালিক অর্থাৎ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা অথবা সে পরিমাণ অর্থের মালিক তার উপর কুরবানি ওয়াজিব। এ ক্ষেত্রে উক্ত সম্পদ এক বৎসর কাল মালিকের হাতে বিদ্যমান থাকা অপরিহার্য নয়। (আলমগীরি ৫ম খন্ড)
নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক প্রত্যেক মুসলমান নর–নারীর উপর প্রতি বছর কুরবানি ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বৎসর কুরবানি করতেন স্বীয় উম্মতকেও প্রতি বছর কুরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উম্মতের পক্ষ থেকে কুরবানি: উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দিকা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানির বকরী যবেহ করেছেন এবং দুআ করতেন, হে আল্লাহ এই কুরবানি আমি আমার বংশধর এবং আমার উম্মতের পক্ষ থেকে কবুল করুন। (মুসলিম শরীফ, খন্ড: ২, পৃ: ১৫৬, আবু দাউদ, খন্ড:২, পৃ: ৩৮৬)
আরো এরশাদ করেছেন, তোমারা মোটা ও সুস্থ সবল পশু কুরবানি করো, এ জন্যই যে, এই কুরবানির পশু পুলসিরাতে তোমাদের বাহন হবে। (কানযুল উম্মাল, খন্ড: ৫ পৃ: ৩৫)। হে আল্লাহ! আমাদেরকে তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কুরবানি করার তাওফিক দান করুন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা–এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম; খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
আবুদল বাসেত নোমানী
লিচু বাগান, চন্দ্রঘোনা, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: আক্বিকা কি? আক্বিকা সম্পর্কে সংক্ষেপে শরয়ী মাসআলা জানালে কৃতার্থ হব।
প্রশ্নের উত্তর: নবজাত সন্তান সন্তুতির জন্মলাভে কৃতজ্ঞতা শুকরিয়া স্বরূপ যে পশু যবেহ করা হয় তাকে আক্বিকা বলা হয়। আক্বিকা করা সুন্নাত, হাদীস দ্বারা প্রমানিত। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, “তাবেয়ী হযরত ইকরামা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (রা.) এর পক্ষ থেকে দুটি দুম্বা আক্বিকা করেছেন। (মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, হাদীস: ৭৯৬২)
আক্বিকার ক্ষেত্রে ছেলে হলে দুটি ছাগল বা দুম্বা, মেয়ে হলে একটি। শিশু জন্মলাভের সপ্তম দিনে যেন নাম রাখা হয়, আক্বিকার জন্য সপ্তম দিবস উত্তম। সপ্তম দিবসে মাথার চুল মুন্ডন করবেন চুলের ওজন পরিমাণ স্বর্ণ বা রোপ্য সাদকা করবে। (বাহারে শরীয়ত, খন্ড: ১৫)
আক্বিকা যদি সপ্তম দিনে করা না হয়, চৌদ্দতম দিনে করবে। (ইমাম হাকেম আল মুস্তাদরাক)
নবজাত শিশু সাতদিনের পূর্বে মারা গেলে আক্বিকা দিতে হবেনা। তবে নাম রাখবে ও জানাযা আদায় করবে। আক্বিকার মাংস ফকীর, নিকটাত্মীয়, বন্ধুবান্ধবকে কাঁচা বা রান্না করে দেয়া যাবে। (বাহারে শরীয়ত, খন্ড:১৫)