শিশু নির্যাতন রোধে ইসলামের নির্দেশনা
শিশুরা আল্লাহর নিয়ামত : শিশু সন্তান আল্লাহ প্রদত্ত মহান নিয়ামত। সন্তান জন্মদান, উত্তমরূপে প্রতিপালন, তাদেরকে সুশিক্ষা প্রদান, সঠিক পরিচর্যা ও আদর্শ মানুষ হিসেবে শিশুদের জীবন গঠনে পিতা-মাতা, শিক্ষক ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব কর্তব্য ও ভূমিকা অপরিসীম। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি পার্থিব জীবনের শোভা এবং স্থায়ী সৎকর্ম তোমার প্রতিপালকের নিকট পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং কাঙ্ক্ষিত হিসেবেও যথেষ্ট। (সূরা: কাহাফ, আয়াত: ১৮:৪৬)
শিশুদের প্রতি নবীজির ভালোবাসা ও মমত্ববোধ : প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত হাসান ও হোসাইন (রা.) কে খুবই আদর স্নেহ করতেন এমনকি অমুসলিম শিশু সন্তানদের প্রতিও ছিল তাঁর সমান মমত্ববোধ ও ভালোবাসা। হযরত ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তারা আমার সুগন্ধিময় জান্নাতের দু’টি ফুল।” (বোখারী শরীফ, হাদীস নং: ৫৫৩৫), নবীজি আরো এরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করেনা এবং বড়দের সম্মান করবেনা সে আমাদের দলভূক্ত নয়।” (মুস্তাদরেকে হাদীস নং: ১৩১)
শিশুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সম্পূর্ণরূপে হারাম : আজকের সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে শিশুরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আদর্শ মানুষ গড়ার পাঠশালা শিশু প্রতিষ্ঠান। অথচ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিশু কিশোরদের জীবন নানাভাবে বিপন্ন। শিক্ষক নামে এক শ্রেণির নরপশুদের পৈশাচিক আচরণ ও শিক্ষার্থীদের প্রতি অনৈতিক কার্যকলাপ ও শারীরিক মানসিকভাবে শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ ও নির্যাতনের কারণে শ্রদ্ধার পাত্র গোটা শিক্ষক সমাজের মর্যাদা আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষার্থে ও ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার স্বার্থে ধর্মের ছদ্মাবরণে এসব চরিত্রহীনদের আইনের আওতায় আনা সময়ের অপরিহার্য দাবী। ইসলাম কোন শিক্ষার্থীকে প্রহার করা, বেত্রাঘাত করা, শারীরিক ও মানসিক শাস্তি প্রদান করা অনুমোদন করে না। হযরত আনাস (রা.) একাধারে দশ বৎসর নবীজির খিদমতে নিজকে উৎসর্গ করেছিলেন। নবীজি তাঁকে কোনোদিন বিন্দুমাত্র প্রহার করেননি, ধমক দেননি, তিনি কাউকে কখনো অপমান করেননি, অনাদর করেননি, কারো সাথে রুক্ষ ব্যবহার করেননি। কোন ক্রটি পরিলক্ষিত হলে নবীজি তাকে সংশোধন করে দিতেন।
শিশুর প্রতি ভালো ব্যবহার ও শিষ্টাচারিতা শিক্ষাদান : আজকের শিশুরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তারাই জাতির উন্নতি অগ্রগতি ও সাফল্যের প্রতীক। উত্তম শিক্ষা আদর্শ চরিত্র ও নীতি নৈতিকতার ভিত্তিতে তাদের জীবন গঠিত হলে তারা হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। দেশ ও জাতির গৌরব। তাদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে পিতা-মাতা, অভিভাবক ও শিক্ষকের ভূমিকা এক নিয়ামক শক্তি হিসেবে পরিগণিত। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “তোমাদের সন্তান সন্ততিদের সাথে ভালো ব্যবহার করো এবং তাদেরকে শিষ্টাচারিতা শিক্ষা দাও।” (সুনানে ইবনে মাযাহ, হাদীস নং: ৩৬৭১)
সন্তানকে সুশিক্ষার আলোতে আলোকিত করার গুরুত্বারোপ করে নবীজি এরশাদ করেন, “যার নিকট শিশু সন্তান রয়েছে সে যেন তাকে সুশিক্ষা দেয়।” (মুসনাদুশ শিহাব: ৬৬৫)
শিশুদের শিক্ষার নিরাপদ ও অনুকুল পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। শাস্তির নামে তাদেরকে বেদম ভাবে প্রহার করা, শরীরকে রক্তাক্ত করা ইসলামে সম্পূর্ণরূপে হারাম। (ফাতওয়া-এ শামী, আলমগীরি)
ইসলামে শাস্তি : শিক্ষা প্রক্রিয়া “শিক্ষার্থী শিক্ষকের পারস্পরিক প্রীতি স্নেহ মমতা সৌহার্দ সহমর্মিতার সম্পর্কের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক প্রভূ-ভৃত্য সম্পর্ক নয়। এ সম্পর্ক হবে মধুময় আনন্দের, বিরক্তের নয় হৃদয়ের। শিক্ষার্থীর প্রতি ভীতিকর রুষ্ট, আশালীন আচরণ গালমন্দ, গর্হিত আচরণ, শিক্ষার সুস্থ পরিবেশকে নির্জীব প্রাণহীন করে তোলে। সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ শিক্ষক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রবর্তিত শিক্ষানীতিতে (প্রয়োজনে ক্ষেত্র বিশেষ ছাড়া) শারীরিক শাস্তি সমর্থন করেনা। ইসলাম শিক্ষার্থীদেরকে অপরাধ প্রবণতা থেকে বিরত রাখতে শিশুর প্রতি নির্বিচারে নিষ্ঠুর ও নির্দয়ে মারধর ও কঠোরতা নয় বরং সুপথে পরিচালিত করতে সংশোধন করতে আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশনা ইসলামে রয়েছে। কোনভাবে লঘুপাপে গুরুদণ্ড ইসলামে স্বীকৃত নয়। স্থান কাল পরিবেশ বিবেচনা করে লঘু শাস্তি হবে সংশোধন মূলক। প্রতিশোধমূলক নয়। হযরত মুয়াবিয়া ইবন হাকাম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে উত্তম শিক্ষক আমি পূর্বেও কোনদিন দেখিনি পরেও দেখিনি। আল্লাহর শপথ তিনি আমাকে কোন ধমক দিলেননা। প্রহার করলেন না, না গালমন্দ করলেন। (মুসলিম শরীফ)
শিশুর সুন্দর জীবন গঠনে ইসলামের নির্দেশনা : মানব সমাজে মাতা-পিতা ও শিশু সন্তানের মধ্যেকার যে গভীরতম স্বভাবজাত সম্পর্ক বিদ্যমান তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। মাতা-পিতা যে ধর্মের অনুসারী হোক না কেন আল্লাহ তা’আলা তাদের অন্তরে সন্তান সন্ততির এক বিশেষ আকর্ষণ সঞ্চার করেছেন। ইসলাম শিশু সন্তানের লালন পালন পরিচর্যার পাশাপাশি তার উত্তম শিক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের ব্যাপারেও বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে। শিশু সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরপরই শিশুকে মায়ের দুধ পান করানোর ব্যাপারে ইসলাম বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এরশাদ হয়েছে, “মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবেন।” (সূরা: বাকারা: আয়াত:২৩৩)
শিশু সন্তানের জ্ঞান বুদ্ধি যখন প্রকাশ পাবে তখন মাতা-পিতার দায়িত্ব হল তাকে মন্দ কথা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে। সঠিক শিক্ষা ও উন্নত আদর্শিক চরিত্র শিক্ষা দিবে। এ ক্ষেত্রে সন্তানের শিক্ষাদানের জন্য চরিত্রবান আদর্শ শিক্ষক নির্বাচনে মাতা পিতার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চরিত্র মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। যার চরিত্র নেই সেই পশু তুল্য। সাম্প্রতিক সময়ে জেনারেল শিক্ষা ও এক শ্রেণির ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শিশু কিশোর শিক্ষার্থীরা শিক্ষক নামে কলংক কিছু শিক্ষকদের যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এতে গোটা শিক্ষক সমাজ আজ লজ্জিত, গুটি কয়েক নরপশুদের অপকর্মে শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। আদর্শহীন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রতি আমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ করেন। আদর্শবান শিক্ষকরা নিজের সন্তানের মতো অন্যের শিশু সন্তানের প্রতি আন্তরিকতা ও মানবিকতা প্রদর্শন করেন। বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “আমি তোমাদের জন্য পিতার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত আমি তোমাদের শিক্ষাদাতা। (আবু দাউদ শরীফ, ১ম খন্ড, পৃ: ৩)
নবীজি এরশাদ করেছেন, “আমি উত্তম চারিত্রিক গুণাবলীর পূর্ণতা বিধানের জন্য প্রেরিত হয়েছি।” (মুয়াত্তা ইমাম মালিক)
যেই মহান নবীর শুভাগমনের বদৌলতে জ্ঞান বিজ্ঞানের দ্বার আজ উন্মুক্ত অবারিত, সে মহান নবীর ওসীলায় দেশ ও জাতি আজ নিরক্ষরতা ও মূর্খতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ লাভ করেছে সেই মহান নবীর আদর্শ ও শিক্ষা আজ আমাদের মাঝে উপেক্ষিত, নবীজির ইলমের ওয়ারিশ আলেমদ্বীনরা নবীজির প্রেম ভালবাসা আদর্শ ও শিক্ষা বুকে ধারন করে বিশ্ব সমাজে জ্ঞানের আলো ছড়াবে।
নির্যাতন নয়, শিশুদের সহযোগিতা করুন : শিশুর উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনে তাফসীরকার হাদীস বিশারদ ইসলামী আইনজ্ঞ মনীষীদের মতামত ও প্রস্তাবনাসমূহ অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও নিতান্ত উপকারী। ক. সাত বৎসর হতে শিশুদের নামায সম্পর্কে মৌখিকভাবে তাকিদ দিন, খ. শিক্ষাদানে স্নেহ অনুকম্পা ও কোমলতা প্রদর্শন করুন, গ. পরিবেশ পরিস্থিতি অনুপাতে সজাগ ও সতর্ক করুন, মন্দ আচরণ থেকে বিরত থাকুন, ঘ. বেত্রাঘাত ও হাতে প্রহার থেকে বিরত থাকুন, ভীতি প্রদর্শন সীমিতি রাখুন। ঙ. পড়া লেখার পাশাপাশি খেলাধুলা ও (শরীয়ত সম্মত) আনন্দ বিনোদনেরও ব্যবস্থা করুন। চ. অসৎ সঙ্গে কখনো বসাবেন না। অসৎ সঙ্গ সর্পের দংশনের চেয়েও মারাত্মক ক্ষতিকর। পিতা মাতার পাশাপাশি একজন শিক্ষকও বর্ণিত নির্দেশনার আলোকে শিশু শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধান করবেন, তবেই তারা সুনাগরিক ও চরিত্রবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ পাবে। দেশ জাতি সর্বোপরি মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ সাধনে মানব সম্পদে পরিণত হবে নি:সন্দেহে। [ফাতওয়া-এ রজভীয়্যাহ, ১০ম খন্ড, কৃত: ইমাম আহমদ রেযা (র.)]
রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুদের প্রতি এত অধিক স্নেহ করতেন যে সফর হতে ফেরা মাত্রই যে শিশুকে কাছে পেতেন তাকে স্বীয় সওয়ারীর সামনে বা পেছনে বসাতেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র নিকট যখনই কোন প্রকার মৌসুমী ফল আসতো সর্বপ্রথম তিনি তা শিশুদের মাঝে বন্টন করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাস্তার মধ্যে খেলাধুলায় ব্যস্ত কোন শিশু কিশোরদের সাক্ষাৎ পাওয়া মাত্র তারা সালাম দেওয়ার সুযোগ গ্রহণের পূবেই তিনি তাদেরকে আন্তরিকভাবে সালাম দিতেন। আনন্দের সাথে তাদের সঙ্গে কথা বলতেন, আপন পর পাথর্ক্য করতেন না। এমনকি অমুসলিমদের শিশুদের প্রতিও অত্যন্ত স্নেহের সাথে আচরণ করতেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমরা নিজ শিশু সন্তানদের শরীয়তের আদিষ্ট বিষয়াদি পালনের এবং নিষিদ্ধ বিষয়াদি থেকে বিরত থাকার হুকুম দিবে কারণ এটি হল তাদের জন্য জাহান্নাম থেকে নিরাপদ থাকার উপায়। (ইবনে জরীর তাবারী)। হে আল্লাহ আমাদের সন্তানদের দ্বীনি আদর্শ নসীব করুন। আমাদের সকলকে কুরআনের হিদায়ত ও বরকত দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহান দানশীল, রাজাধিরাজ, পুণ্যময়, অনুগ্রহশীল ও দয়ালু।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর
চট্টগ্রাম, খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
মুহাম্মদ আবদুল করিম
বিপনী বিতান, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন : ফরজ নামাযের পর ইমাম সাহেব নিজের জায়গা থেকে সরতে হয় কি?
প্রশ্নের উত্তর : ফরজ নামায আদায়ের পর সম্ভব হলে নিজের জায়গা থেকে সরে সুন্নাত পড়া উত্তম। এ প্রসঙ্গে হযরত আলী (রা.) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, “ইমাম সালাম ফিরানোর পর নিজের জায়গা থেকে সরে সুন্নাত পড়বে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং: ৬০৭৬), যে স্থানে ফরজ পড়বে সে স্থানে সুন্নাত না পড়া উত্তম বরং ডানে বামে বা সামনে পেছনে সরে গিয়ে পড়া উত্তম। (আলমগীরি, দুররুল মুখতার, মু’মীন কী নামায, রদ্দুল মুখাতর ১/৫৩১), ফরজের ও সুন্নাতের জন্য সরে দাঁড়ানোর কারণ হল একটি থেকে অন্যটিকে পৃথক করা। আরেকটি কারণ হল সিজদার স্থান বাড়ানো, যেহেতু সিজদার স্থানগুলো কিয়ামত দিবসে নামাযীর পক্ষে সাক্ষী দিবে। আল্লাহই সঠিক জ্ঞাত।