মুহররম ইসলামী বর্ষের প্রথম মাস:
ইসলমী হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। আল্লাহর মাস ও সম্মানিত নবী রাসূলগণের মাস হিসেবে অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর স্মারক এ পবিত্র মাস।
আল কুরআনের আলোকে ইসলামী মাসের গুরুত্ব:
মহান আল্লাহ তা’য়ালা মহা গ্রন্থ আল কুরআনে এরশাদ করেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহর নিকট আল্লাহর কিতাবে গণনার মাস বারটি আসমান সমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন থেকে তম্মধ্যে চারটি সম্মানিত। (সূরা: তাওবা, আয়াত: ৩৬)
আয়াতের ব্যাখ্যায় বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র.) গুনীয়াতুত তালেবীন কিতাবে উল্লেখ করেছেন চারটি সম্মানিত মাসের প্রথম তিনটি ধারাবাহিক বিন্যস্ত জিলক্বদ, জিলহজ্ব, মহররম, চতুর্থ মাস হচ্ছে জমাদিউল উলা ও শাবানের মধ্যবর্তী মাস রজব। পশ্চিমাকাশে নবচন্দ্র দর্শনের মাধ্যমে চান্দ্র মাসের তারিখ গণনার যাত্রা সূচনা হয়। আমিরুল মুমেনীন ইসলামী জগতের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুর খিলাফত কালে ইসলামী হিজরি সনের সূচনা হয়।
হাদীস শরীফের আলোকে মহররম ও আশুরার বরকতময় আমল:
হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বি. হতে বর্ণিত, হযরত রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা হতে মদীনায় হিজরত করে আগমন করলেন। তখন তিনি সেখানকার ইয়াহুদিগণকে আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা এ দিনে রোজা রাখছ কেন? তারা উত্তর দিলো এটা মহা সম্মানিত দিন, এদিনে আল্লাহ্ তা‘আলা হযরত মুসা আলায়হিস্ সালাম ও তাঁর উম্মতকে নাজাত দিয়েছিলেন এবং ফেরআউন ও তার বাহিনীকে সমুদ্রে নিমজ্জিত করেন। তাই হযরত মুসা আলায়হিস্ সালাম–এর কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এদিনে রোজা পালন করেন, বিধায় আমরা এ দিনে রোজা রাখি। এতদশ্রবণে রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, হযরত মুসা আলায়হিস্ সালাম–এর নাজাতে কৃতজ্ঞতা আদায়ে আমরা তোমাদের চেয়ে বেশি উপযুক্ত ও অধিক হকদার। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে আশুরার দিনে রোজা রাখেন এবং মুমিনদেরকেও রোজা রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। [বুখারী ও মুসলিম শরীফ]
বর্ণিত, হাদীস শরীফে ইসলামী বর্ষের প্রথম মাস মহররম মাসের দশম তারিখ আশুরা দিবসে মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে রোজা আদায়ের নির্দেশ ঘোষিত হয়েছে। আশুরা (১০ মহররম) বহু তাৎপর্যময় ঘটনাবলী এ দিবসে সংঘটিত হয়েছে। এ দিবসে করুণাময় আল্লাহ্ তাঁর নবী হযরত মুসা আলায়হিস্ সালাম ও তাঁর অনুসারীদেরকে পরিত্রাণ দিয়েছিলেন এবং নবীদ্রোহী ফেরআউন ও তার অনুসারীদেরকে খোদাদ্রোহীতা ও নবীদ্রোহীতার শাস্তি স্বরূপ নীল সমুদ্রে নিমজ্জিত করেছিলেন। পরিত্রাণ প্রাপ্ত আল্লাহর বান্দারা শুকরিয়া আদায়ার্থে রোজা পালন করেছিলেন। আমাদের নবীজির শরিয়তে আশুরার পুণ্যময় আমলের বরকত ও রহমত লাভের প্রত্যয়ে আল্লাহ্ তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে অন্যান্য বরকতময় আমলের মতো মহররমের নয় ও দশ তারিখে অথবা দশ ও এগার তারিখে দু’টি রোজা পালনের বিশেষ ফজিলত মুহাদ্দেসীন ও ফকীহগণের বর্ণনাদির আলোকে প্রমাণিত। পবিত্র রমজান মাসের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বেও আশুরার রোজা পালনে রাসূলুল্লাহর আমল ছিল। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পর আশুরার রোজা নফল হিসেবে মর্যাদা লাভ করলো। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে “ হযরত আয়েশা রাদ্বি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। যখন রমজানের রোজা ফরজ হলো তখন এরশাদ করেন, যার ইচ্ছা রাখতে পার যার ইচ্ছা ছেড়ে দিতে পার।” [বুখারী শরীফ, হাদীস: ১৮৭৫]
মহররম ও আশুরার পূণ্যময় আমল:
পবিত্র মহররম তথা আশুরা দিবসে এতিমদের প্রতি সদাচরণ করা, তাদের প্রতি দয়া ও করুণা প্রদর্শন করা কল্যাণ ও সওয়াবের আমল হিসেবে বিবেচিত। হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে হাদীস বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আশুরার দিবসে কোন এতিমের মাথার উপর হাত বুলাবে তখন আল্লাহ্ তা‘আলা তার জন্য এতিমদের মাথার প্রতিটি চুলের বিনিময়ে জান্নাতে একটি মর্যাদা দান করবেন। [গুনিয়াতুত্ তালেবীন: খ ২, পৃ– ৫৩]
আশুরা দিবসে এতিমের জন্য পানাহারের ব্যবস্থা করা একটি পুণ্যময় আমল। এতিমের দু’আয় বালা মুসিবত দূরীভূত হয়। রিযক বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। দরিদ্র অভাবী লোকদের খাদ্য পানীয় ব্যবস্থা করা, শরবত পান করানো, দান খায়রাত করা, ‘হাফতদানা’ সাতদানার ফতিহা ব্যবস্থা, নফল নামায আদায় করা ইত্যাদি নেক আমল সমূহ বুজুর্গানে দ্বীন কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বীকৃত।
হযরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নিজ পরিবার পরিজনের জন্য আশুরার দিবসে খরচের ক্ষেত্রে উদার হবে, আল্লাহ্ তা‘আলা গোটা বৎসর তার রিযকে প্রশস্থতা দান করবেন। (খুতবাতে মুহাররম, পৃ: ৪১৬)
ঐতিহাসিক ১০ই মহররমে সংঘটিত ঘটনাবলী:
১. গুনিয়াতুত তালেবীন মাছাবাতা বিসসুন্নাহ, নুজহাতুল মাজালিস ইত্যাদি প্রসিদ্ধ কিতাব সমূহে ১০ মহররম নিম্নবর্ণিত ঘটনাবলী সংঘটিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। ২. আশুরা দিবসে মহান আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেন। এ দিবসে আসমান, জমিন, লওহ, কলম সৃষ্টি করেন। ৩. আশুরা দিবসে হযরত আদম আলাইসি সালামকে সৃষ্টি করা হয়। ৪. এ দিনে আল্লাহ তা’আলা আদম আলাইহিস সালাম’র দেহ মোবারকে রূহ সঞ্চার করেন। ৫. এ দিনে আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করার জন্য ফেরেস্তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে আদিষ্ট হয়। ৬. এ দিনে আমাদের মাতা হাওয়া (আ🙂 কে সৃষ্টি করা হয়।
৭. আশুরা দিবসে আদম (আ🙂 জান্নাত থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। ৮. আশুরা দিবসে আদম ও হাওয়া (আ🙂 আরাফাতের ময়দানে পরস্পর সাক্ষাত হয়। ৯. এ দিনে আদম (আ:)’র দুআ ও তাওবা আল্লাহ কবুল করেন। ১০. আশুরা দিবসে আল্লাহ তা’আলা পৃথিবীতে প্রথম রহমত বর্ষণ করেন। ১১. আশুরা দিবসে পৃথিবীতে সর্ব প্রথম রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। ১২. আশুরা দিবসে আল্লাহ তা’আলা দুই হাজার সম্মানিত নবী রাসূল আলাইহিমুস সালামকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন।
১৩. এ দিনে ফিরিস্তাদের সর্দার ও অসংখ্য ফিরিস্তারাজিকে সৃষ্টি করা হয়। ১৪. হযরত নূহ আলাইহিস সালাম’র যুগে এ দিবসে মহাপ্লাবন সৃষ্টি হয়। ১৫. এ দিবসে হযরত নূহ আলাইহিস সালামের কিস্তি জুদী পাহাড়ে নোঙ্গর করে।
১৬. হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম আশুরা দিবসে পৃথিবীতে শুভাগমন করেন। ১৭. আশুরা দিবসে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম খলিলুল্লাহ উপাধিতে ভূষিত হন। ১৮. আশুরা দিবসে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম নমরূদের জলন্ত অগ্নিকুণ্ড থেকে পরিত্রাণ লাভ করেন। ১৯. এ দিবসে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম তুর পর্বতে আল্লাহর সাথে কালাম করেন। এ দিবসে তিনি আসমানী কিতাব তাওরাত শরীফ লাভ করেন। ২০. এ দিবসে আল্লাহর কুদরতে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম নীল সমুদ্র অতিক্রম করেন এবং কুখ্যাত ফেরাউন পরিবারবর্গসহ নীল সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়।
২১. এ দিবসে হযরত দাউদ (আ.)’র দুআ কবুল হয়। ২২. আশুরা দিবসে আল্লাহ তা’আলা হযরত সোলায়মান আলাইহিস সালামকে হারানো রাজত্ব পূনরায় ফিরিয়ে দেন। ২৩. এ দিবসে হযরত ইউসূফ আলাইহিস সালাম কুপ থেকে পরিত্রাণ পান। ২৪. হযরত ইউসূফ আলাইহিস সালাম সুদীর্ঘ চল্লিশ বৎসর পর স্বীয় পিতা হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম’র সাথে সাক্ষাত লাভ করেন। ২৫. এ দিবসে আল্লাহর নবী হযরত ইদরীস আলাইহিস সালাম আসমানে আরোহন করেন।
২৬. হযরত ইদরীস আলাইহিস সালাম এ দিনে জান্নাতে প্রবেশ করেন। ২৭. হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম এ দিবসে মাছের পেট থেকে পরিত্রান লাভ করেন। ২৮. হযরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম দীর্ঘ ১৮ বৎসর পর জটিল কঠিন রোগ থেকে শিফা লাভ করেন। ২৯. এ দিনে আল্লাহর নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম পিতা ছাড়া জন্ম গ্রহণ করেন, ও আল্লাহর কুদরত প্রমান করেন। ৩০. হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এ দিনে আসমানে আরোহন করেন।
৩১. এ দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা (রা.)’র সাথে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। ৩২. এ দিবসে শফীউল মুজনেবীন শাফায়াতের কান্ডারী নূর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শাফায়াতে কুবরার কর্তৃত্ব ও মর্যাদা প্রদান করা হয়। ৩৩. এ দিবসে নবীজির প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র তাজেদারে কারবালা জান্নাতের যুবকদের সর্দার হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু স্বপরিবারে ৬১ হিজরির ১০ মহররম ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে শাহাদাতের সুধা পান করেন। ৩৪. আশুরা দিবসে মহাপ্রলয় সৃষ্টি হবে পৃথিবী ধ্বংশ হবে কিয়ামত সংঘটিত হবে। (সূত্র: গুনীয়াতুল তালেবীন, পৃ: ৪২৯, কৃত: হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র.), মা ছাবাতা বিসমুন্নাহ, পৃ: ২২,২২ কৃত হযরত শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি (র.), নুজহাতুল মাজালিস, পৃ: ১৮১ কৃত: হযরত আবদুর রহমান সফুরী (র), আনোয়ারুল বয়ান, খন্ড: ১ম, পৃ: ২৪১ কৃত: হযরত আনোয়ার আহমদ কাদেরী)। হে আল্লাহ আমাদেরকে মহররম ও আশুরার ফযীলত নসীব করুন। আমীন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা–এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম। খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
মুহাম্মদ আবদুল মাজেদ
আন্দরকিল্লাহ, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: আশুরা দিবসে এক শ্রেণির মুসলমান নামধারী লোকেরা হায় হোসেন হায় হোসেন মাতম করে, কালো কাপড় পরিধান করে চাবুক দ্বারা শরীর রক্তাক্ত করে, নারী পুরুষ একত্রে তাজিয়া মিছিল করে। এ কাজগুলো কতটুকু শরীয়ত সম্মত জানালে উপকৃত হব।
উত্তর: প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ হযরত আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা স্বীয় কিতাব “আল মউজুআতুল কবীরে” বর্ণনা করেন, ১০ই মহররমের দিন কালো কাপড় পরিধান করা বুকে আঘাত করা চুল ছিড়ে ফেলা, বিলাপ করা, চাবুক দ্বারা শরীর রক্তাক্ত করা, নারী পুরুষ সমন্বয়ে তাজিয়া মিছিল করা এ সব কিছু পথভ্রষ্ট রাফেযী ও শিয়া সম্প্রদায়ের কুরুচিপূর্ণ অপসংস্কৃতি। যা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও গুনাহের কাজ। এ সব ঘৃণ্য ও অভিশপ্ত অপকর্ম সর্বাত্নক ভাবে বর্জন করা সর্বস্তরের মুসলমানদের উপর আবশ্যক। আশুরা ও মহররমকে কেন্দ্র করে প্রচলিত নানাবিধ বিদয়াত কুরআন সুন্নাহ বিরোধী অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা (র.) প্রণীত প্রামাণ্য নির্ভর যোগ্য কিতাব “আ–লীউল ইফাদাহ ফী তাজিয়াতিল হিন্দ ওয়া বয়ানিশ শাহাদাত” অধ্যয়নে সত্যান্বেষীরা সঠিক পথের দিশা পাবে নি:সন্দেহে। ( আনোয়ারুল বয়ান, খন্ড: ১ম, পৃ: ২৪৪, কৃত: আনোয়ার আহমদ কাদেরী বেরলভি)। আশুরা দিবসে লাল কালো ও সবুজ রংয়ের কাপড় পরিধান করে শোক মিছিল আয়োজন করা এতে অংশ গ্রহণ করা শিয়াদের কুপ্রথা যা ইসলামে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়েজ। (ইরাশাদাতে আ’লা হযরত)। মুহররম মাসের দিন সমূহে সবুজ পোশাক পড়া কালো রং পরিধান করা নিকৃষ্ট ও জঘন্য যেমনটা জাহিলদের মাঝে প্রচলিত, যা নাজায়েজ ও গুনাহের কাজ। (ফাতওয়া রিজভিয়্যাহ, খন্ড: ২২, পৃ: ১৮৫)। তাযিয়া মিছিল করা মন্দ বিদ’আত। (ফাতওয়া রিজভিয়্যাহ, খন্ড: ২৪, পৃ: ৪৯০)