জুম্‌’আর খুতবা

ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা!

আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন, নারী জাতির মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে কুরআন সুন্নাহর নির্দেশনা মেনে চলুন। জেনে রাখুন ইসলাম সাড়ে চৌদ্দশত বৎসর পূর্বেই নারী জাতির সঠিক মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করেছে। এ কথা অনস্বীকার্য যে, ইসলাম পূর্বযুগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্বে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মে ও দেশে দেশে নারী জাতি ছিল চরমভাবে নির্যাতিতা ও অবহেলিতা। বিশ্বব্যাপী নারীজাতির মর্যাদা ও অধিকার বলতে কিছুই ছিলোনা। আরব সমাজে কোনো পরিবারে নারী জন্মগ্রহণ করাকে মারাত্নক অপমান লাঞ্চনা ও লজ্জার বিষয় হিসেবে গণ্য করা হতো, একমাত্র আল্লাহর মনোনীত পবিত্র ও শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামই নারী জাতিকে এ অপমানকর অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়ে নারী জাতির সামাজিক অর্থিক পারিবারিক আধ্যাত্নিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা নিশ্চিত করেছে।

পবিত্র কুরআনের আলোকে হযরত আদম (.) ও হাওয়া (.) এর মাধ্যমে মানব জাতির বংশ বিস্তার: মহান রাব্বুল আলামীনের সৃষ্টি রহস্য বিস্ময়কর। তিনি একজন পুরুষ ও একজন নারীর মাধ্যমে মানবজাতির সৃষ্টির সূচনা করেছেন। উভয়ের বংশ বিস্তার ঘটিয়েছেন, তাঁদের বংশধর পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “হে মানবমন্ডলী, তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর থেকে তাঁর সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন অনন্তর এ দুজন হতেই তিনি অসংখ্য নরনারী সৃষ্টি করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। (সূরা: নিসা, আয়াত: )

নারী জাতি শান্তি ও মায়া মমতার প্রতীক: নরনারী শরয়ী বিধিমতে দাম্পত্য জীবনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে একটি পরিবারের ভিত্তি স্থাপিত হয়। মানব সভ্যতার বিকাশ ও স্থায়িত্ব দাম্পত্য জীবনের উপর নির্ভরশীল। তারা একে অপরের সহযোগী একে অন্যের পরিপুরক শক্তি হিসাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। মানব জাতির অর্ধেক পুরুষ, অর্ধেক নারী, নারীর প্রতি অবজ্ঞা অবহেলা অবমূল্যায়ন করলে পরিবার ও সমাজে শান্তি সম্প্রীতি উন্নতি অগ্রগতি কল্পনাই করা যায় না। নারী ও পুরুষের বন্ধন ও সম্পর্কের ভারসাম্যহীনতা পরিবার ও সমাজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে। ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে নারী ও পুরুষের সামাজিক বন্ধন জীবনকে শান্তিময় করে। ইসলামী বিধানে নরনারীর সম্পর্ক হচ্ছে শান্তি ও প্রীতির সম্পর্ক। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “আল্লাহর অস্তিত্বের একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের কাছে শান্তি পেতে পার। আর তিনি তোমাদের উভয়ের মধ্যে প্রেমপ্রীতি ও দয়া মায়া সৃষ্টি করেছেন। (সূরা, রুম, আয়াত: ২১)

তাফসীর রাহুল মা’আনী প্রণেতা আল্লামা আলুসী (.) উক্ত আয়াতের ব্যাখায় বলেন, “তোমাদের জন্য আল্লাহ তা’আলা শরীয়ত সম্মত উপায়ে দাম্পত্য জীবনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্ব প্রেম প্রীতি মায়া মমতা ভালোবাসা ও সহানূভূতি সৃষ্টি করেছেন, অথচ ইতোপূর্বে তোমাদের মধ্যে পরস্পর পরিচয় ছিলনা, না ছিল আত্নীয়তা অথবা রক্তের সম্পর্ক। (তাফসীর, রুহুল মা’আনী, পৃ: ৩১)

ইসলামে নারীর অধিকার: ইসলাম নারীদের যথাযোগ্য মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নারীর প্রতি অবহেলা ও অবমাননার সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছে, নারীদের উপর জুলুম নির্যাতন ও অমানবিক আচরণকে জঘন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারীদের ন্যায় সঙ্গত অধিকারের কথা সুস্পষ্টরূপে ঘোষণা করা হয়েছে, আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “নারীদের তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে, যেমন আছে তাদের উপর পুরুষের। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ২২৮)

বর্ণিত আয়াতে উভয়ের অধিকারের কথা বলা হয়েছে, যার ন্যায় সঙ্গত অধিকার যতটুকু সে ততটুকু ন্যায় সঙ্গত অধিকার দাবী করতে পারে। তবে নারীদের উপর পুরুষদের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। নারী ও পুরুষের মধ্যে নানাবিধ মর্যাদাগত পার্থক্য বাস্তব সম্মত ও কুরআন সুন্নাহর আলোকে প্রমানিত। এ বিষয়টি অনস্বীকার্য যে, আল্লাহ তা’আলা কোন নারীকে নবী বা রাসূল করে দুনিয়াতে পাঠাননি। সৃষ্টি কালেও নারীর আগে পুরুষকে হযরত আদম () কে সৃষ্টি করেছেন, পরে হাওয়া () কে সৃষ্টি করেছেন।

ইসলামে নারীদের উপর পুরুষদের মর্যাদা ও প্রাধান্য দেয়ার বিভিন্ন যৌক্তিক কারণ ও ব্যাখ্যা রয়েছে, আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, “পুরুষগণ মহিলাদের অভিভাবক” ও পরিচালক, কারণ তাদের এককে অন্যের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং পুরুষরা মহিলাদের ভরণ পোষণের জন্য নিজেদের অর্থ ব্যয় করে থাকে। (সূরা: নিসা: আয়াত: ৩৪)

আল্লামা ইবনুল আরাবী প্রণীত “আহকামুল কুরআন” এ উল্লেখ করা হয়েছে, পুরুষদের প্রাধান্যের অনেকগুলো কারণের মধ্যে বর্ণিত আয়াতে আল্লাহ তা’আলা দুটো কারণ উল্লেখ করেছেন, এক নারীদের তুলনায় পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব হলো আল্লাহর বিশেষ দান। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, জ্ঞানবুদ্ধি, সুষ্ট ব্যবস্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদনা, বিপুল কর্মশক্তি প্রভৃতি দিক বিবেচনায় পুরুষরাই স্বভাবতই প্রাধান্যের অধিকারী। এ জন্যেই নবুওত, রিসালত, খিলাফত, ইমামত, শাসন ক্ষমতা বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পুরুষদের উপর অপির্ত হয়েছে। দুই, স্ত্রীদের মোহরানা ভরণ পোষণসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার দায়িত্ব পুরুষদের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। (ইবনুল আরাবী, আহকামুল কুরআন, পৃ: ৪১৬)

পুরুষের কর্তৃত্ব নানাবিধ বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ ক্ষেত্রে পুরুষের একনায়কত্ব স্বীকৃত নয়।

নারীর মতামত ও পরামর্শ দানের অধিকার: পরিবারে শৃঙ্খলা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পুরুষরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নারীদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের ব্যপারে ইসলামের নির্দেশনা মেনে চলবে। পরিবারের অনেক বিষয়ে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশী পরিমাণ অভিজ্ঞতার অধিকারী যা খুশী তা করার জন্য স্বামীকে স্ত্রীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়নি। মূলত পুরুষকে করা হয়েছে নারীর হিফাজতকারী ও ন্যায় নিষ্ঠ সহযোগী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র জীবনাদর্শ এর বাস্তব নমুনা ও উজ্জ্বল দৃষ্ঠান্ত। উম্মুল মু’মেনীন হযরত খাদীজাতুল কোবরা (রা.) ধনাঢ্য মহিলা ছিলেন, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে পরামর্শ না করে সেখান থেকে কিছুই ব্যয় করতেন না। এটা কি নারী জাতির কর্তৃত্ব নয়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু এরশাদ করেছেন, নারীদের সাথে তাদের কন্যাদের ব্যাপারে পরামর্শ কর। (সুনান, দারে কুতনী, ৩য় খন্ড)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নারীদের পরামর্শ গ্রহণ সম্পর্কে হযরত হাসান বসরী () বর্ণনা করেছেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের সাথেও পরামর্শ করতেন, কোন কোন সময় তারা এমন মতামত পেশ করতেন যা তিনি গ্রহণ করতেন। (ইবন কুতাইবা, উয়ুনুল আখবার, ১ম খন্ড)

বিদায় হজ্বের ভাষণে নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঐতিহাসিক ঘোষণা: প্রখ্যাত সাহাবী হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষনে রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষনা করেছিলেন, “স্ত্রীদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, কেননা আল্লাহর উপর ভরসা করেই তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ। আর আল্লাহর কলেমা দ্বারাই তোমরা তাদের থেকে দাম্পত্য অধিকার লাভ করেছ, তোমাদের উপর তাদের অধিকার হলো এই যে, তোমরা তাদের খোরাক ও পোশাকের সুবন্দোবস্ত করবে। অপর বর্ণনায় এসেছে স্ত্রীদের প্রতি তোমাদের কর্তব্য হচ্ছে, তোমারা তাদের ভরণ পোষণ ও পোশাক পরিচ্ছদের সুব্যবস্থা করবে।

হে মানব মন্ডলী! তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক থাকবে। কেননা তারা তো তোমাদের সহযোগী, মনে রেখো স্ত্রীদের উপর তোমাদের যেমন অধিকার আছে তোমাদের উপরও স্ত্রীদের তদ্রুপ অধিকার রয়েছে। (সহীহ মুসলিম ১ম খন্ড, কিতাবুল হজ্ব, জামিউত তিরমিযী, ১ম খন্ড)

কন্যা সন্তানের উত্তম প্রতিপালনে রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ: কন্যা সন্তানদের সুশিক্ষা, শিষ্টাচারিতা, আদব আখলাক, স্নেহ মায়া মমতা উত্তম ও সুন্দর ব্যবস্থাপনায় যারা প্রতিপালন করবে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তানকে লালন পালন করলো, তাদেরকে শিষ্টাচারিতা শিক্ষা দিলো, বিয়ে শাদীর ব্যবস্থা করলো এবং তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করলো তাঁর জন্য রয়েছে জান্নাত। (হাকিম মুস্তাদরাক, ৪র্থ খন্ড, পৃ: ১৭৭)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি তিনজন কন্যা অথবা অনুরূপ তিনজন বোনকে লালন পালন করলো তাদেরকে আদব শিক্ষা দিলো এবং আল্লাহ তাদেরকে স্বাবলম্বী না করা পর্যন্ত তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করল আল্লাহ তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করেছেন। অত:পর এক ব্যক্তি বললেন এয়া রাসূলাল্লাহ! যদি দু’জন হয়, নবীজি বললেন দুজন হলেও, এমনকি তারা যদি বলতো একজন হলে, তাহলে তিনিও বলতেন একজন হলেও তাই। (মুসনাদে আহমদ, ৩য় খন্ড)

উপর্যুক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হলো, ইসলামই নারী জাতিকে পূর্ণ সম্মান মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছে। কন্যা হিসেবে স্ত্রী হিসেবে মা হিসেবে একজন আদর্শ নারী হিসেবে মর্যাদার আসনে সকল ক্ষেত্রে সর্বস্তরে তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করেছে। নরনারীর সম্পর্ক, সমতা, কর্মক্ষেত্র, দায়িত্ব কর্তব্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।

আল্লাহ তা’আলা আমাদের নারী জাতিকে কুরআন সুন্নাহর নির্দেশনা মোতাবেক ইসলামী আদর্শ অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসাএ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী),

খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।

 

মুহাম্মদ এনামুল হক

বাহির সিগন্যাল, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন: এক শ্রেণির মৌলভীরা “নারায়ে রিসালাত, ইয়া রাসূলাল্লাহ” স্লোগানকে ফালতু স্লোগান বলে নবীজির শানে কটূক্তি করে। এ স্লোগান সম্পর্কে শরয়ী ভিত্তি জানালে উপকৃত হব।

উত্তর: নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর এর মতো নারায়ে রিসালত “ইয়া রাসূলাল্লাহ” স্লোগান দেয়া জায়েজ, শরীয়ত সম্মত। হাদীস শরীফ ও মুজতাহিদ ফকীহ ও ইসলামী আইনজ্ঞদের বক্তব্য ও মতামত দ্বারা প্রমাণিত। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা শরীফ থেকে হিজরত করে মদীনা শরীফের প্রান্ত সীমায় উপনীত হলে মদীনাবাসীরা নবীজিকে “ইয়া মুহাম্মদ, ইয়া রাসূলাল্লাহ” স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান, ও প্রাণঢালা অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করেন, হযরত বারা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, মদীনার নারী পুরুষ ঘরের ছাদের উপর আরোহণ করেন, ছোট ছোট শিশুরা ও ক্রীতদাসগণ মদীনার অলিতে গলিতে ছড়িয়ে পড়েন, সকলে “ইয়া মুহাম্মদ ইয়া রাসূলাল্লাহ” ধ্বনিতে খুশী ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। (মুসলিম শরীফ, ২য় খন্ড, হিজরত অধ্যায়, জা’আল হক, প্রথমাংশ, পৃ: ২৯৯, ফতোওয়ায়ে আলমগীরি, ১ম খন্ড, কিতাবুল হজ্ব।)

প্রখ্যাত তাফসীরকার আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (.) প্রণীত তাফসীরে “রুহুল বায়ান” এ “আস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ” দরুদ শরীফে ইয়া রাসূলাল্লাহ বাক্য সম্বলিত দরুদ শরীফের বহু উপকারিতা ও ফযীলত বর্ণনা করেছেন। (শানে হাবীবুর রহমান, কৃত: হাকীমূল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী (.), পৃ: ২৩৪)

এ ছাড়াও “ইয়া রাসূলাল্লাহ” আহবান করার বৈধতা প্রমাণে দলীল ভিত্তিক আলোচনার প্রামাণ্য কিতাব “মজমু’আই ফতোওয়ায়ে আযীযিয়াহ শরীফ” কৃত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ আযীযুল হক শেরে বাংলা আল কাদেরী (.), পৃ: ৪৫। “ফতোয়ায়ে আজিজি” প্রথম খন্ড, পৃ: ৭৫ কৃত আল্লামা মুহাম্মদ আজিজুল হক আল কাদেরী (.)

এতদসংক্রান্ত শরয়ী প্রমাণাদি অস্বীকার করা নবীজির সমুন্নত মর্যাদার প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শনের নামান্তর, যা নবী বিদ্বেষের পরিচায়ক ও সুস্পষ্ট কুফরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রসঙ্গ : শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতা এবং সুসন্তানের জন্য আদর্শ পরিবার
পরবর্তী নিবন্ধজামিন পেলেন না সাবেক আইজিপি বেনজীরের ক্যাশিয়ার জসিম