পবিত্র কুরআনের আলোকে দু’আ: পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ ধর্ম আল ইসলামে মহান আল্লাহর দরবারে দু’আ বা প্রার্থনা করার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। পথিবীতে সম্মানিত যত নবী রাসূলগন আগমন করেছেন প্রত্যেকে মানব জাতির হেদায়তের জন্য ও আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রত্যহ সকাল সন্ধ্যা, দিবা রাত্রি নিয়মিত দুআ করতেন, আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, “আর তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি সাড়া দেব, নিশ্চয়ই যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই লাঞ্চিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (সূরা: আল মুমিন, ৪০: ৬০)
প্রতিটি ব্যক্তি বিপদে আপদে সুখে দু:খে মুসিবতে সংকটে সুস্থতা অসুস্থতা, সচ্ছলতা অসচ্ছলতা সর্বাবস্থায় তাঁরই সমীপে দুআ করতে আদিষ্ট। আল্লাহ তা’আলা আরো এরশাদ করেছেন, “আর আল্লাহ তা’আলাকে আহবান করো ভয় ও আশা সহকারে।নিশ্চয়ই আল্লাহর করুণা সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী। (সূরা: আল আরাফ, ৭:৫৬)
হাদীস শরীফের আলোকে দুআর গুরুত্ব: আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উৎকৃষ্ট মাধ্যম হচ্ছে দুআ করা, বান্দা স্বীয় কৃত অন্যায় অপকর্মে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি সন্তুষ্ট হন, হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেনা আল্লাহ তা’আলা তাঁর উপর অসস্তুষ্ট হন। (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদীস: ৬১৬)
আল্লাহর সমীপে আনুগত্য প্রকাশের মাধ্যম হচ্ছে দুআ করা। ব্যক্তিগত পারিবারিক সামাজিক রাজনৈতিক প্রতিটি পর্যায়ে শান্তি সমৃদ্ধি স্থিতিশীলতা অর্জন ও শান্তির জন্য আল্লাহর সমীপে দুআ করা হচ্ছে মু’মিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহর কাছে দুআ’র মাধ্যমে বান্দা সম্মানিত হতে পারে। আল্লাহর দয়া অনুগ্রহ ও কৃপা লাভের জন্য সর্বদা তাঁকে স্মরণ করতে হবে। জীবনে সুখ শান্তি কাঙ্খিত প্রয়োজনীয় ফলাফল প্রান্তির জন্য দুআর চাইতে উত্তম কিছু নাই। হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “আল্লাহর নিকট দুআ’র চাইতে অধিক সম্মানিত বস্তু আর কিছুই হয় না।” (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদীস: ৭১২)
আল্লাহর সমীপে নবীজির প্রাত্যাহিক আমল ছিল দুআ করা: ইসলামে দুআর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি অর্জনের জন্য হাদীস শরীফে অসংখ্য দুআর ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, নবীজি বিভিন্ন বিষয়ে নিজে দুআ পাঠ করতেন। সাহাবাদেরকে দুআর গুরুত্ব শিক্ষা দিয়েছেন, দৈনন্দিন জীবনে রাসূলুল্লাহর নির্দেশিত দুআ গুলো পাঠের উপকারিতা প্রয়োজনীয়তা ও এর ফযীলত অনস্বীকার্য। হযরত আনাস ইবন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, দুআ ইবাদতের মগজ স্বরূপ। (সুনানুত তিরমিযী, হাদীস ৩৩৪১)
তিন ব্যক্তির দুআ নি:সন্দেহে কবুল করা হবে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছন তিন ব্যক্তির দুআ এমন যা নি:সন্দেহে কবুল করা হবে। ১. মজলুমের দুআ, ২. মুসফিরের দুআ, ৩. সন্তানের জন্য মাতা পিতার দুআ। (ইবনে মাযাহ, হাদীস, ৩৮৬২)
ফরজ নামাযের পর দুআ কবুল হয়: হযরত উমামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলো, কোন দুআ বেশী কবুল হয়? নবীজি বললেন, শেষ রাতের মধ্য ভাগে এবং ফরজ সালাতের পর দুআ করা। (তিরমিযী, হাদীস: ১০৮)
দুআ কবুল হওয়ার শর্ত: দুআ করার সময় কায়মনোবাক্যে নিষ্ঠার সাথে পবিত্র অন্তরে ইখলাসের সাথে দুআ করা কবুল হওয়ার জন্য শর্ত। সব ধরনের হারাম হতে দূরে থাকা। খাদ্য, পানীয়, পরিধেয় বস্ত্র ইত্যাদি যেন হালাল উপার্জনের মাধ্যমে অর্জিত হয়। দুআ করার সময় তাড়াহুড়া না করা। প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমাদের যে কোন দুআ কবুল হয়ে থাকে তবে শর্ত হলো যেন তাড়াহুড়া না করে এবং এমন কথা যেন না বলে, দুআ তো অনেক করলাম কিন্তু কবুল হল না। (বুখারী শরীফ, ৫৮৮৮)
যে সব দুআ করা নিষেধ: অনেকে ব্যক্তিগত পরিবারিক সামাজিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্নভাবে অশান্তি অস্থিরতা ও নানাবিধ দুঃখ দুর্দশা ও বিপদে সংঙ্কটে আক্রান্ত হয়ে ধৈর্যহীন হয়ে পড়ে। জীবনে বেঁচে থাকার মানসিকতা হারিয়ে ফেলে দুঃখ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু কামনা করে থাকে। মৃত্যু কামনা করা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমরা কেহ মৃত্যু কামনা করো না এবং মৃত্যু আসার আগে উহার জন্য দুআও করোনা, কেননা যখন মৃত্যু এসে যাবে তখন আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে, সওয়াবের মধ্যেই মু’মিন বান্দার আয়ু নিহিত রয়েছে। (বুখারী শরীফ, হাদীস: ৬৭২৬)
দুআ তাকদীর পরিবর্তন করতে পারে: দুআ এমন এক শক্তিশালী মাধ্যম যা মু’মিনের জন্য হাতিয়ার স্বরূপ। দুআর মাধ্যমে বান্দার তাকদীর পরিবর্তন হয়, হাদীস শরীফে হযরত সালমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, দুআ ব্যাতীত অন্য কিছু ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনা। আর পুণ্য ব্যতীত অন্য কিছু হায়াত বৃদ্ধি করতে পারেনা। (সুনানুত তিরমিযী, হাদীস: ২১৩৯)
দুআ কবুল হওয়ার বিশেষ মুহূর্ত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, জুম’আর দিন এমন একটি মূহুর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলমান উহা পেয়ে আল্লাহর নিকট যদি কিছু প্রার্থনা করে আল্লাহ অবশ্যই তা প্রদান করবেন। তবে এ ক্ষণটা খুবই সংক্ষিপ্ত। (সহীহ মুসলিম, খন্ড:১ম, পৃ: ২৮১)
দুআ কবুল হওয়ার সময় প্রসঙ্গে দুটি অভিমত নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমানিত, ১. ইমাম খুতবার জন্য মিম্বরে বসার পর থেকে নামায শেষ করা পর্যন্ত, জুম’আর নামাযের পরবর্তী সময়ে। (বাহারে শরীয়ত, খন্ড: ৪র্থ, পৃ: ৮৬)
হাকীমূল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী (র.)’র বর্ণনামতে দুআ কবুল হওয়ার সময়ের ব্যাপারে ৪০টি অভিমত রয়েছে তন্মধ্যে দুটি অভিমত সবচাইতে সুদৃঢ় শক্তিশালী। ১. একটি হলো জুম’আর দিন দুই খুতবার মধ্যবর্তী সময়, ২. দ্বিতীয়টি হলো সূর্যাস্তের সময়। (মিরআত শরহে মিশকাত, খন্ড:২, পৃ: ৩১৯–৩২০)
আল কুরআনে পিতা মাতার জন্য দুআ করার নির্দেশ: সন্তানের লালন পালন, চরিত্র গঠন ও তাহজীব তমুদ্দুন ও নৈতিকতা শিষ্ঠাচারিতা শিক্ষাদানে মাতা–পিতার ভূমিকা ও অবদান অপরিসীম। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের অসংখ্য আয়াতে পিতা মাতার প্রতি সদাচরণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতা মাতার জন্য দুআ করার পদ্ধতি প্রসঙ্গে আল্লাহু তা’আলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, “হে আমাদের পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর। যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন পালন করেছেন।” (সূরা: বনী ইসরাঈল, ২৮)
কেবল পিতা মাতা নয় আল্লাহ তা’আলা মু’মিন নর–নারীদের জন্য, দুআ করার শিক্ষা দিয়েছেন। সকল সম্মানিত নবী রাসূলগন স্বীয় পিতা–মাতা ও মুমিনদের জন্য দুআ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে হযরত নূহ আলাইহিস সালাম কর্তৃক স্বীয় পিতা–মাতার জন্য করা দুআ আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, “হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি আমাকে আমার পিতা–মাতাকে যারা মুমিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং মু’মিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন। (সূরা: নূহ:২৮)
শ্রেষ্ঠ দুআ হলো আলহামদুলিল্লাহ: হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, শ্রেষ্ঠ যিকর হলো লা–ইলাহা–ইল্লাল্লাহ আর শ্রেষ্ঠ দুআ হলো আলহামদুলিল্লাহ। (তিরমিযী, হাদীস: ৩৩৮৩)
অসুস্থ ব্যক্তির শিফার জন্য দুআ করা: অসুস্থ ব্যক্তির সেবা করা ও আরোগ্য লাভের জন্য দুআ করা সুন্নাত। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যেতেন। এ দুআ করতেন, “লা বা–সা তাহুরুন ইনশাআল্লাহ”। অর্থ: কোন চিন্তা নেই, আল্লাহ চাহে তো এ রোগ থেকে পবিত্র করবেন।” (বুখারী, ৩৩৪৬)
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগীকে সান্ত্বনা দিতে সুস্থতার জন্য নিম্নোক্ত দুআ করতেন, “আল্লাহুম্মা রাব্বান নাস আযহিবিল বাস ওয়াশফি আন্তাশ শাফী, লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা শিফাআন লা–ইউগাদিরু সাকামা। অর্থ: হে আল্লাহ হে মানুষের প্রতিপালক, দু:খ কষ্ট দূর করুন, শেফা দান করুন, আপনি শিফা দানকারী, আপনি ছাড়া কোন রোগমুক্তি কার্যকর নয়। এমন রোগ মুক্তি, যেন এর পর আর কোন অসুস্থতা না থাকে। (বুখারী, ৫২৪২)
দুআ কবুল হওয়ার স্থান সমূহ: ১. কাবা শরীফ যখন নজরে পড়ে তখন দুআ করা হলে, ২. কা’বা শরীফের ভিতরে, ৩. যমযম কুপের নিকটে, ৪. হাজরে আসওয়াদের নিকটে, ৫.মকামে ইবরাহীমের নিকটে, ৬. মীযাবে রহমতের নীচে, ৭. মাতাফ তথা তাওয়াফ করার স্থানে, ৮.জাবালে নূর হেরা পর্বতে যেখানে প্রথম ওহী নাযিল হয়, ৯. জাবালে রহমত আরাফাতের প্রান্তরে যে পাহাড়ে হযরত আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.) এর দুআ কবুল করা হয়, ১০. আরাফাতের ময়দানে, ১১. মুযদালিফার ময়দানে, ১২. মওলুদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র মক্কায় অবস্থিত যে গৃহে নবীজি শুভাগমন করেছিলেন, ১৩. ফরজ নামাযের পর, ১৪. মদীনা শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র রওজা শরীফ যিয়ারত কালে, ১৫. মসজিদে নববী শরীফে, ১৬. বদর প্রান্তরে শোহাদায়ে বদরের যিয়ারত কালে, ১৭.রিয়াজুল জান্নাহ শরীফে, ১৮. ওহুদ প্রান্তরে হযরত হামজা (রা.)সহ শোহাদায়ে ওহুদের যিয়ারত কালে, ১৯. মসজিদে কিবলাতাঈন, ২০. মসজিদে কোবা শরীফে (সংক্ষেপিত), ২১. কদরের রজনীতে, রমজানুল মুবারকের বরকতময় মাসে, লায়লাতুল বরাতের রজনীতে, মিরাজুন্নবী রজনীতে, দুঈদের রজনীতে, মিলাদুন্নবী তথা ধরাধামে নূর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুভাগমনের পবিত্র রজনীতে, রাতের শেষ তৃতীয়াংশে জুম’আর নামাযের ওয়াক্তে জুম’আর দিন আসরের পর থেকে মাগরীবের পূর্ব পর্যন্ত। পবিত্র কুরআন মজীদ তিলাওয়াতের পর দুআ কবুল হয়। (সংক্ষেপিত)
মু’মিনের দুআ বিফল হয় না, মহান আল্লাহ আমাদের দুআ কবুল করুন। একমাত্র তাঁরই ইবাদত ও সাহায্য প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। আমীন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা–এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী),
বন্দর, চট্টগ্রাম; খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
আবদুল্লাহ আল হাসান
বাদামতল, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: জুম’আর দিনে খতীব সাহেব খুতবা পাঠকালে অনেক মুসল্লীকে কথা বলতে দেখা যায়। খুতবা শ্রবণ সংক্রান্ত শরয়ী মাসআলা সম্পর্কে জানালে কৃতার্থ হব।
উত্তর: খুতবার সময় পানাহার করা, কথা বলা, সালাম দেওয়া ও সালামের জবাব দেওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। (দুররুল মুখতার, খন্ড:৩, পৃ: ৩৯), জুমআর খুতবা, দুই ঈদের খুতবা, বিয়ের খুতবা শ্রবণ করা ওয়াজিব।(দুররুল মুখতার, খন্ড:৩, পৃ:৪০), যখন খুতবা পাঠ করা হয় তখন খুতবা শুনা এবং নিরব থাকা সকল মুসল্লীর উপর ওয়াজিব। খতীব থেকে দূরে বসার কারণে খুতবা শুনতে না পেলেও নিবর থাকা ওয়াজিব। খুতবার মধ্যে নবীজির নাম মোবারক শ্রবণ করলে মনে মনে দরুদ শরীফ পড়তে হবে। কেননা খুতবা পাঠের সময় চুপ থাকা ওয়াজিব। (ফতোওয়ায়ে রজভীয়্যাহ, খন্ড:৮ম, পৃ: ৩৬৫)
খুতবা পাঠের সময় মসজিদে হাটাহাটি করা হারাম। খুতবা পাঠের সময় মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে হবে কোন দিকে ঘাঁড় ফিরিয়ে দৃষ্টিপাত করা নিষেধ ও হারাম। (ফতোওয়ায়ে রজভীয়্যাহ, খন্ড: ৮ম, পৃ:৩৩৪)