কাযা নামাযের বিধান ও মাসায়েল
আদা ও কাযা’র সংজ্ঞা: কোন ফরজ বা ওয়াজিব ইবাদত শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পালন করাকে শরীয়তের পরিভাষায় আদা বলা হয়। কোন ফরজ ওয়াজিব ইবাদত শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের পর পালন করাকে কাযা বলা হয়। (রদ্দুল মোখতার, বাহারে শরীয়ত, ৪র্থ খন্ড, পৃ: ৬১), নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা ফরজ। বিনা ওজরে নির্ধারিত সময়ে আদায় না করা কবীরা গুণাহ।
কুরআনের আলোকে নির্ধারিত সময়ে নামায আদায়ের গুরুত্ব: মহান আল্লাহ তা’আলা নির্ধারিত সময়ে নামায আদায়ের জন্য বান্দার উপর সময়সূচি অনুসরণ করা ফরজ করে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা মু’মিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।” (সূরা: নিসা, আয়াত: ১০৩)। নামাযের প্রতি যারা অবহেলা, অলসতা ও উদাসীনতা প্রদর্শন করে অপূর্ণাঙ্গ ভাবে যারা নামায আদায় করে তাদের দুর্ভোগ ও অশুভ পরিণতির কথা এরশাদ হয়েছে, “সুতরাং ওইসব নামাজীর জন্য দুখ যারা নিজেদের নামায সমূহে অলসতা করে।” (সূরা: মাউন, আয়াত: ৪-৫)
যথাসময়ে নামায আদায়ের গুরুত্ব: হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, হে আলী তিনটি ব্যাপারে বিলম্ব করবেনা। এক. নামায যখন সময় হয়। দুই.জানাযা যখন উপস্থিত হয়। তিন. বিবাহ যখন তুমি সমগোত্র এবং সমপাত্র পাও। (তিরমিযী, মিশকাত, পৃ: ২২৯)
হযরত উম্মে ফারওয়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো কোন আমল অধিক উত্তম? তিনি বললেন, নামায প্রথম সময়ে আদায় করা। (আহমদ, তিরমিযী ও আবু দাউদ শরীফ)
কাযা নামায সম্পর্কে নবীজির নির্দেশনা:
নিদ্রার কারণে বা ভুলক্রমে বিশেষ কোন ওজর কারণ বশত: বা সফরে নামায কাযা হয়ে গেলে কাযা নামায পড়ার বিধান সংক্রান্ত রাসূলুল্লাহর নির্দেশনা সম্বলিত অসংখ্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে, সংক্ষিপ্তাকারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাদীস উপস্থাপন করা হলো:-
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, সালাত থেকে অলস থাকে অথবা সালাত আদায় না করেই ঘুমিয়ে যায় নবীজি বললেন, যখনই তার স্মরণে আসবে তখনই সে ঐ সালাত আদায় করে নেবে। (ইবনে মাজাহ, ১ম খন্ড, পৃ: ২৭২)
হযরত আবু ক্বাতাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, নিদ্রার মধ্যে কোন ক্রটি নেই। দোষক্রটি হচ্ছে জাগ্রতাবস্থায়, সুতরাং তোমাদের কেউ যখন নামায পড়তে ভুলে যায় বা ঘুমিয়ে পড়ে যখনই স্মরণ হবে তখনই পড়ে নেবে। যেহেতু আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “আমার স্মরণ আসতেই নামায কায়েম করো।” (মুসলিম শরীফ)
উল্লেখিত হাদীসদ্বয়ের ব্যাখ্যায় হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী (র.) প্রণীত মিরাতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ প্রথম খন্ডে উল্লেখ করেন, যে ব্যক্তি রাতে কোন ওজর ব্যাতীত দেরীতে নিদ্রা গেল যার কারণে ফজরের সময় জাগ্রত হলো না তখন সে গুনাহগার হবে। এ কারণে এশার নামাযের পর তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া উচিত যেন ফজর নামায কাযা না হয়।
ভুলে যাওয়া নামায স্মরণ হওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিক কাযা সম্পন্ন করে নেবে। দেরী করা গুনাহ। ছুটে যাওয়া নামায যদি একেবারে স্মরণেই না আসে গুনাহগার হবে না। কেন না কাযা স্মরণ হলেই ওয়াজিব হয়। নিছক জাগ্রত হলে ওয়াজিব হয় না, কারণ জাগ্রত হবার পর যদি স্মরণে না আসে তখন কাযা নেই। (মিরআতুল মানাজীহ, ১ম খন্ড)
কাযা সংক্রান্ত শরয়ী মাসায়েল: কাযা নামাযের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই, জীবনে যখনই পারে পড়ে নেবে দায়িত্ব মুক্ত হবে। কিন্তু সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও দ্বিপ্রহরের সময়ে কোন প্রকার ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, নফল ও কাযা নামায জায়েয নেই। (আলমগীরি, বাহারে শরীয়ত, ৪র্থ খন্ড, পৃ: ৬২)
কাযা নামায আদায়ের নিয়ম: ইসলামী আইনজ্ঞ ফকীহগণের মতে কাযা নামায আদায়ের ক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত, নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে। ১. কাযা নামায ওয়াক্তিয়া নামাযের পূর্বে আদায় করতে হবে। ২. কাযা নামায পড়তে গিয়ে ওয়াক্তিয়া নামযের সময় যেন চলে না যায় সতর্ক থাকতে হবে। ৩. ওয়াক্তিয়া নামায ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হলে প্রথমে ওয়াক্তিয়া নামায পরে কাযা নামায পড়ে নেবে। ৪. একাধারে পাঁচ ওয়াক্ত নামায কাযা হলে কাযা আদায়ের ক্ষেত্রে তারতীব তথা ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরি। যেমন প্রথমে ফজর অত:পর জোহর অত:পর আসর অত:পর মাগরীব অত:পর এশা অত:পর বিতর পড়বে। (আলমগীরি, বাহারে শরীয়ত ৪র্থ খন্ড, পৃ: ৬৪) ৫. যদি পাঁচ ওয়াক্তের বেশি নামায কাযা হয়ে যায় তখন তারতীব রক্ষা করা জরুরী নয় যে ভাবে ইচ্ছা আদায় করা যাবে।
মাসআলা: যে নামায যে ভাবে বাদ পড়েছে সে নামায সেভাবে কাযা পড়তে হবে। যেমন সফরে নামায কাযা হলে তখন চার রাকাত বিশিষ্ট নামায দু’রাকাত পড়বে যদিও মুকীম অবস্থায় পড়া হয়। মুকীম অবস্থায় বাদ পড়া নামায চার রাকাতের নামায চার রাকাত দিয়ে কাযা করবে, যদিও সফরে পড়ে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড: ২, পৃ: ২০৫, বাহারে শরীয়ত: ৪র্থ খন্ড, পৃ: ৬৩, আলমগীরি)
মুক্তাদি মুকীম হলে মুসাফির ইমামের পিছনে আদা ও কাযা উভয় প্রকার নামাযের ইক্তেদা করতে পারবে। মুসাফির ইমাম সালাম ফিরানোর পর মুকীম মুক্তাদি দাঁড়িয়ে বাকী দুই রাকাত পড়ে নেবে তবে এক্ষেত্রে সূরা ফাতেহা পাঠ করতে হবে না। সূরা ফাতেহা পাঠ করতে যতক্ষণ সময় লাগে সে পরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে অত:পর রুকু, সিজদা, শেষ বৈঠক ও সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামায সমাপ্ত করবেন। (দুররুল মুখতার, খন্ড: ২, পৃ: ৭৩৫)
মাসআলা: ফরজের কাযা ফরজ, ওয়াজিবের কাযা ওয়াজিব, সাধারণত সুন্নাত নামাযের কাযা আদায় করা জরুরি নয়। তবে ফজরের সুন্নাত যখন ফরজও বাদ পড়ে যায় এবং জোহরের পূর্বের সুন্নাত যখন জোহরের সময় বাকী থাকে, পড়ে নিবে। (দুররুল মুখতার, রদ্দুলমুখতার)
যদি ফজরের নামাযের কাযা দ্বিপ্রহরের পর আদায় করা হয় তখন ফরজের কাযা করবে সুন্নাতের কাযা করতে হবে না। (ফাতওয়া-এ রযভীয়্যাহ, খন্ড:৩, পৃ: ৬২০)
আর যদি ফজরের কাযা নামায দ্বিপ্রহরের পূর্বে আদায় করে ফরজের সাথে সুন্নাত নামাযেরও কাযা আদায় করতে হবে। (রদ্দুল মুহতার)
মাসআলা: এশার নামায কাযা হলে বিতর নামাযের কাযা আদায় করাও ওয়াজিব। (রদ্দুল মুখতার, ফাতওয়া-এ রজভীয়্যাহ, খন্ড: ৩, পৃ: ৬২৪)
মাসআলা: সাধারণ নফল নামায পড়ার চেয়ে নিজের অতীত জীবনের ফরজ, ওয়াজিব, নামাযের কাযা নামায আদায় করাটাই উত্তম। (আলমগীরি)
আসআলা: এমন অসুস্থ ব্যক্তি মাথার ইশারায়ও যদি নামায পড়তে অক্ষম তার জিম্মা হতে নামায মাফ। তাকে কাযা দিতে হবেনা। এ অবস্থায় যদি ছয় ওয়াক্ত নামাযের সময় অতিবাহিত হয় কাযা দেয়া তার জিম্মায় থাকবে না। কাফফারা বা ফিদিয়া দেওয়াও তার জন্য জরুরী নয়। (ফিকাহের কিতাব সমূহ দ্রষ্টব্য)
কাযা নামায দৈনিক ফরজ ওয়াজিব বিশ রাকাত: কাযা নামায দৈনিক বিশ রাকাত। ফজরের ফরজ দুরাকাত, জোহরের ফরজ চার রাকাত, আসরের ফরজ চার রাকাত, মাগবিরের ফরজ তিন রাকাত, এশার ফরজ চার রাকাত, বিতরের ওয়াজিব তিন রাকাত। কাযা নামায আদায়ে নিয়্যত করা জরুরি। এ মর্মে নিয়্যত করবে যে, আমি সর্ব প্রথম অথবা সর্ব শেষ ফযরের নামায যা আমার উপর কাযা হয়েছে অথবা আমি সর্ব প্রথম বা সর্ব শেষ জোহরের নামায যা আমি আদায় করিনি এভাবে প্রত্যেক নামাযের নিয়্যত করবে। কাযা নামাযের সংখ্যা বেশি হলে রুকু ও সিজদার মধ্যে সুবহানা রাব্বীয়াল আজীম, সুবহানা রাব্বীআল আ’লা তাসবীহ তিনবারের স্থানে একবার বলবে। [আহকামে শরীয়ত কৃত: ইমাম আহমদ রেযা (র.)]
সুন্নাত নামাযের কাযা নেই, তবে ফরজ নামাযের সুন্নাতে মু’আক্বাদা এর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফজরের সুন্নাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফজরের কাযা সুন্নাত জোহর নামাযের পূর্বেই কাযা পড়তে হবে। জোহরের ফরজের পূর্বের চার রাকাত সুন্নাত কোন কারণবশত পড়া না হলে ফরজের পর পড়ে নিতে হবে। জোহরের ফরজের পর দু. বাকাত সুন্নাতের পূর্বে বা পরে পড়ে নেবে। অবশ্য জোহরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে কাযা ওয়াজিব হবে না। (আলমগীরি, পৃ: ২২৯-২৩০)
জুম’আর নামাযের কাযা নেই। জুম’আর নামায পড়তে না পারলে চার রাকাত জোহরের নামায পড়বে। (বাহারে শরীয়ত, ৪র্থ খন্ড)
কোন কারণ বশত: ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামায প্রথম দিন পড়া সম্ভব না হলে ঈদুল ফিতরের নামায পরদিন ঈদুল আযহার নামায বার তারিখ পর্যন্ত পড়া যাবে। (বাহারে শরীয়ত ৪র্থ খন্ড)
ওমরী কাযা নামাযের বর্ণনা: সাধারণত মেয়েরা নয় বছরে ও ছেলেরা বার বছরে বালিগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। ওই সময় থেকে নামায ফরজ হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পর যে ব্যক্তি যথারীতি নামায আদায় করেনি অথবা তার জীবনে অনেক ওয়াক্তের নামায অনাদায়ী রয়ে গেছে এমন ব্যক্তি যথা সম্ভব শীঘ্র কাযা নামাযগুলো আদায়ে সচেষ্ট হবে। কাযা নামাযের পরিমাণ হিসাব করা সম্ভব হলে সে পরিমাণ কাযা আদায় করা ফরজ হবে। অথবা অনুমান করে অতীতের কাযা নামাযগুলো সম্পন্ন করাকে ওমরী কাযা বলে। ওমরী কাযা আদায়ের সহজ নিয়ম হচ্ছে প্রত্যেক ওয়াক্তের নামায আদায়ের সময় সমপরিমাণ ফরজ নামায কাযা হিসেবে আদায় করতে থাকা। এভাবে কাযা নামায পড়তে পড়তে যখনি অন্তরে নিশ্চিত ধারণা হবে যে জীবনের কাযা নামায সমূহ আদায় হয়ে গেছে এভাবে কাযা নামায থেকে দায়িত্ব মুক্ত হবে। প্রত্যেক ওয়াক্তের ফরজ ও বিতরের নামাযে কাযার নিয়্যতে করবেন এমর্মে নিয়্যত করবেন যে আমি আমার জীবনের প্রথম ফজরের ফরজ অথবা শেষ ফজরের ফরজ নামায কাযা করছি। জোহর, আসর, মাগরিব, এশা’র ক্ষেত্রেও এভাবে নিয়্যত করবে। আল্লাহর দরবারে অনুতপ্ত হয়ে বিশুদ্ধ নিয়্যতে তাওবা করবে, গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করবে। ওমরী কাযা নামায আদায়ের কাযা কাউকে প্রকাশ করবে না। কেননা গুনাহের কথা প্রকাশ করাও গুনাহের কাজ। (ফতোয়ায়ে শামী, খন্ড:২, পৃ: ৬৫০, আলমগীরি ১ম খন্ড)
মাসআলা: মহিলাদের মাসিক ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসবকালীন দিনগুলোতে নামায ফরজ থাকে না। এ সময়ের নামাযের কাযা পড়তে হবে না। (ফতোওয়ায়ে শামী, ১ম খন্ড)
নামাযের কাফফারা: কারো জিম্মায় যদি নামায রোযা অনাদায়ী থাকে। তার পক্ষে সেগুলো আদায় করা যদি সম্ভব না হয় এমতাবস্থায় মৃত্যু আসন্ন ব্যক্তি সকল নামায ও রোযার পরিবর্তে কাফফারা আদায় করার জন্য উত্তরাধিকারীদের অসিয়্যত করবে, অসিয়্যত করা ওয়াজিব, অন্যথায় তিনি গুনাহগার হবেন। (আলমগীরি ১ম খন্ড)
মৃত ব্যক্তি তার কাযা নামায ও কাযা রোজার ব্যাপারে অসিয়্যত করে গেলে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ হতে তা প্রদান করা হবে। প্রতিদিন বিতরসহ ছয় ওয়াক্ত নামায হিসেব করে প্রতি ওয়াক্তের জন্য অর্ধ “সা” গম (২ কেজি ৫০ গ্রাম) অর্থাৎ এক ফিতরা পরিমাণ ফকির মিসকিনকে সাদকা করবে প্রতিটি রোজার ফিদয়াও অনুরূপ। কোন ব্যক্তি যদি তার উত্তরাধিকারীকে কাফফারা আদায়ের অসিয়্যত না করেই মারা যায় তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি ও যদি না থাকে তখন কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব নয়। এমতাবস্থায় উত্তরাধিকারীগণ নিজেদের সম্পদ থেকে মৃতের প্রতি দয়া মেহেরবানী হিসেবে পুরো কাফরারা আদায় করলে তারা সওয়াব পাবে। (আলমগীরি ১ম খন্ড, দুররুল মোখতার), হে আল্লাহ আমাদের কে যথাসময়ে নামায আদায়ের তাওফিক দান করুন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী); খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।