জীবনে বন্ধু থাকুক; থাকুক, বন্ধুত্বের বন্ধন

ইভান পাল | রবিবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৫ পূর্বাহ্ণ

প্রত্যেকটা বন্ধু কিংবা বন্ধুদের মধ্যে, বন্ধুদের মিলে একটা সার্কেল থাকে। সেটা কখনো দু বছরে তৈরি হয়, কখনো তিন, কখনো চার এরকম। সেই সার্কেলে বন্ধু জীবনের ৩৬৫ দিনের কতো গল্প যে এসে মেশে তার হিসেব থাকে না। কতো খুনসুটি, কতো মারামারি, হাসি ঠাট্টা, খোঁচাখুচি। কিন্তু, বিশাল একটা সময় ধরে বন্ধুত্বের এই সার্কেল কখনো থাকে না। আমরা তো জানি, এই কমলা লেবুর মতো গোল পৃথিবীতে সবই নশ্বর! বন্ধুত্বের সার্কেলের বেলায় তার ব্যতিক্রম হবে কেন? বরং আরো বেশি হয়!
পৃথিবীতে কোন কিছুই অবিনশ্বর নয়। সবই নষ্ট হবেই। বন্ধুত্বের সার্কেল ও। তবে প্রথম প্রথম সেই ভাঙন দেখে অনেকের কষ্ট হয়, কেউবা বলে জোড়া লাগানোর, কেউবা চেষ্টা করে, কেউবা হচ্ছে না দেখে হতাশ হয়ে চুপ করে থাকে। এই সার্কেলের মানুষগুলো একদিন অনেক বড়ো হয়ে যায়। চেহারা বদলে যায়, মুখে চোখে আসে পরিবর্তনের ছাপ! তারপর একদিন কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ছেলেগুলোর কেউ কেউ দু চারটে সিগারেটে টান দেয়। তারপর একদিন এই সার্কেলের মানুষ গুলোর সাথে একে অপরের হঠাৎ দেখা। একসময় অনেকক্ষণ বসে আড্ডা দিতে থাকা, আড্ডা দিতে চাওয়া দুই বন্ধু সময়ের তাড়নায় তাড়াতাড়ি পালাই পালাই করে। বরং কথা বাড়তে থাকলে বিরক্তবোধও করে বসে। সময়ের তাগিদে সব বদলে যায়!
জীবনে বন্ধু থাকুক। থাকুক, সুন্দর সব বন্ধুত্বের সার্কেল। আর সবারই মনে হয় বন্ধু সার্কেল গুলোর প্রতিটা সময় কে আগলে রাখা দরকার, উপভোগ করা দরকার, সময় চলে গেলে আর পাওয়া যাবে না।
লেখক: শিক্ষার্থী

পূর্ববর্তী নিবন্ধড. আসমা সিরাজুদ্দিন : একজন মমতাময়ীর মহাপ্রয়াণ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি