নিজের পরিচয় তৈরি করে যে মজা আছে, তা অন্যের গোলামি করে কখনও পাওয়া যায় নাই! জীবনে চলার পথে নানান রকম বাধা বিপত্তিতো আসবে সবকিছু পার করে আমাদের সামনে দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নিজের কর্মের গুণে মানুষ আপনাকে খুঁজে নিবে নয়তো জীবনে কোন স্বার্থ ছাড়া কেউ কাউকে খোজার এই জগতে সময় কাহারো নেই। জীবনে নিজের পরিচয় তৈরি করতে হলে প্রথমে নিজের পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে হবে। এরপর, নিজের দক্ষতা, আগ্রহ এবং মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে একটি স্পষ্ট ধারণা তৈরি করুন। প্রথম পরিচয়েই ভালো ধারণা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পরবর্তীতে আপনার প্রতি অন্যের মনোভাব গঠনে সাহায্য করে।
লোকে বলে, সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। তাহলে আমি বলি– ভালোই হয়েছে। এখন আপনি বেঁচে থাকার একটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন। সে আপনাকে ছেড়ে যায় নি বরং আপনার অসফলতাই তাকে আপনার থেকে দূরে নিয়ে গেছে। তাই এখন আরোও একবার উঠে দাঁড়ান আর আরোও একবার শুরু করুন। এখন আর স্বপ্নে তাকে নয় বরং আপনার ভবিষ্যতকে দেখা শুরু করুন। একবার মনে করুন আপনার ছোট বেলার স্বপ্ন গুলোকে। তখন আপনি অনেক কিছু প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন। আর আজ আপনাকে আরোও একবার অনেক কিছু প্রমাণ করতে হবে।
নিজের স্বপ্নের পিছনে এমন ভাবে ছুটুন যাতে আপনার সাথে দেখা করাটা তাদের স্বপ্ন হয়ে যায়। যারা কোথাও না কোথাও, কখনও না কখনও আপনাকে নিয়ে মজা করেছিলো। সবার প্রথমে আপনি আপনার ক্যারিয়ার তৈরি করুন তারপর আপনি প্রেম/ভালোবাসা করবেন। কারণ আজকাল ভালোবাসা কেবল তারই টিকে থাকবে যার ভবিষ্যৎ ঠিক থাকবে! জীবনে খুব বেশি না হলেও, এতোটা সফল তো আপনাকে অবশ্যই হতে হবে, যাতে আপনার বাবা মা ও আপনার প্রয়োজন দুটোই একসাথে পূর্ণ করতে পারেন!
যখন আপনি এটা বুঝতে পারবেন না যে আমার ভবিষ্যৎটা কেমন হবে, তখন আপনি আপনার বর্তমানে মনযোগ দিন। যদি আপনার বর্তমান ঠিক থাকে তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ অটোমেটিক ঠিক হয়ে যায়। যাদের মনে হয় তারা না থাকলে আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন, তাদের কাছে আপনার সফলতাটা একটা জবাব। মনে রাখবেন– অনেক মজবুত হয়ে যায় সেই সব লোক, যারা ভিতর থেকে ভেঙে পড়ে! যে একবার পড়ে গিয়েও ওঠা শিখে যায়। সে আর কখনোই পড়ে যেতে ভয় পায় না। তাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করার জন্য প্রথমে একটি শক্তিশালী পেশাগত ভিত্তি তৈরি করা জরুরি। এর পাশাপাশি, ব্যক্তিগত জীবনেও নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলুন যাতে আপনার একটি নিজস্ব পরিচিতি তৈরি হয়।